সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদিবাসী বলয়ে সাঁওতালি ভাষার আজও বিপুলভাবে জনপ্রিয়। আর তাকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিতে রাজ্যের বর্তমান সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার আসার পর সাঁওতালি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এখন বিভিন্ন পরীক্ষাও দেওয়া যায় সাঁওতালিতে। এমনকী আদিবাসী জনজাতির উন্নয়নের জন্যও রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। চব্বিশের লোকসভা ভোটে ঝাড়গ্রামের তৃণমূল প্রার্থী সাঁওতালি ভাষার সাহিত্যিক, পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্ত কালীপদ সোরেন। তাঁর সমর্থনে শুক্রবার ঝাড়গ্রামের (Jhargram) গোপীবল্লভপুরে জনসভা করতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে জনতার উদ্দেশে বললেন, ''বাংলা বুঝতে আপনাদের অসুবিধা হচ্ছে? আমি ধীরে ধীরে সাঁওতালি ভাষাটা শিখে নেব।'' স্বীকার করলেন, ''অলচিকিটা একটু শক্ত আছে। তবে আমি শিখে নেব।''
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জাতীয় স্তরেও দীর্ঘদিনের যোগাযোগ। তিনি একাধিক বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব সামলেছেন। দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে অবাধ গতিবিধি ছিল তাঁর। পরবর্তীতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর নিজের রাজ্যকে স্বভাবতই বেশি সময় দেন। আর দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অন্যতম প্রাপ্তি একাধিক ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাবলীল কথা বলা। বেশ কয়েকটি ভাষা (Language) তিনি জানেন। তার চেয়েও বড় কথা, বিভিন্ন ভাষাকে গুরুত্ব দেন একইভাবে। সাঁওতালি, রাজবংশীর মতো বিলুপ্তপ্রায় ভাষাকে পুনরুজ্জীবিত করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা বেশ প্রশংসনীয় বিশেষজ্ঞ মহলে।
[আরও পড়ুন: ঋতুস্রাবের সময় পেটে লাথি! কেজরির সহায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক FIR স্বাতীর]
তবে সাঁওতালি (Santhali) ভাষায় কথা বলতে এখনও তাঁর সমস্যা হয়। তা নিজেই স্বীকার করে নিলেন। শুক্রবার আদিবাসী প্রভাবিত এলাকা গোপীবল্লভপুরে সভা করতে গিয়ে জনতার উদ্দেশে বলেন, ''বাংলা বুঝতে আপনাদের অসুবিধা হচ্ছে? আমি ধীরে ধীরে সাঁওতালি ভাষাটা শিখে নেব। আসলে অলচিকিটা একটু শক্ত। আমি অবশ্য কবিতা লিখেছি এই হরফে। কুড়মালি ভাষাতেও আমার কবিতা আছে।'' রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সাহিত্যচর্চাও সর্বজনবিদিত। কবিতা, প্রবন্ধ, রাজনৈতিক লেখালেখি, ছবি আঁকা চলে বিভিন্ন সময়। এবার তিনি মনে দেবেন ভাষাচর্চায়, বিশেষত সাঁওতালি ভাষা। ঝাড়গ্রামের সভা থেকে অন্তত সেই ইঙ্গিতই দিলেন।