সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। প্রার্থী নির্বাচন থেকে ভোটের ফলাফল পর্যন্ত, প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত ভেবেচিন্তে নিতে হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিকে। সন্দেশখালির সাম্প্রতিক ঘটনাবলির কারণে সেদিকে নজর আমজনতারও। আগামী ১ জুন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে ভোট (Lok Sabha Election 2024)। তার আগে মঙ্গলবার দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে বসিরহাটে নির্বাচনী প্রচার করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকে সন্দেশখালি ইস্যুতে রীতিমতো কড়া বার্তা দিলেন তিনি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বক্তব্যের শুরুতেই এল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, ''সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মা-বোনদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তার জন্য হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে আমি দুঃখিত। মা-বোনদের নিয়ে যেন অসম্মানের খেলা কেউ না খেলে। ভোটের আগে বিজেপির (BJP) প্ল্যান-এ ছিল সন্দেশখালি। বাতিল হয়ে গিয়েছে। মা বোনেরাই বাতিল করে দিয়েছেন।''
[আরও পড়ুন: ‘এমনি জিতে যাব…’, ঘাটালের ভোটের আগেই আত্মবিশ্বাসী দেব]
এই সন্দেশখালিতেই তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) বিরুদ্ধে যাবতীয় কুকীর্তির অভিযোগ উঠেছিল। শাহজাহান এখন জেলবন্দি। বিজেপির দাবি, মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর পদক্ষেপ নেয়নি। এদিন বসিরহাট থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার জবাবে বললেন, ‘‘এই আমলে ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি মেয়েদের উপর অত্যাচার হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। দলিতদের উপর অত্যাচার হয়েছে। আমাদের এখানে হয় না। আমাদের এখানে যে দু-একটা ঘটনা হয়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবস্থা নিই। রাম হোক বা রহিম, কেষ্ট হোক বা বিষ্টু। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কাউকে ছাড়া হয় না।’’
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি প্রার্থীদের দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করান, বাসন মাজান’, পরামর্শ অভিষেকের]
শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরির অভিযোগ রয়েছে ভুরি ভুরি। এদিন তা নিয়ে মমতার বক্তব্য, ‘‘এমনিতে সন্দেশখালি দ্বীপাঞ্চল, এখানে অনেকটা ভিতরের জায়গা। এখানে অনেক মাছের ভেড়ি আছে। অনেকে অনেকের ভেড়ি দখল করে নেয়। আমরা তাই একটা পলিসি তৈরি করছি। জোর করে ভেড়ি কেড়ে নেওয়া যাবে না। যার ভেড়ি, সে চাষ করুক। না হলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো চালাক। কিন্তু সরকারের রেকর্ডে নাম রাখতে হবে। সরকারকেও তার জন্য একটা শুল্ক দিতে হবে। তাতে ভেড়িতে অধিকার বজায় থাকবে। ’’