সুমন করাতি, হুগলি: বাংলায় শিল্পীদের কোনও মর্যাদা নেই। কাঞ্চনের সঙ্গে হয়েছে আপনার সঙ্গেও হতে পারে। এই বার্তা লিখে পোস্টার দেখা গেল হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে। হুগলির খাদ্য ভবনের সামনে লাগানো এই পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কাঞ্চন কাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee), কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের ছবি দিয়ে পোস্টার লাগানো হল খাদ্য ভবনের সামনে। পোস্টারে লেখা, "আজকে কাঞ্চনের সঙ্গে হয়েছে, কালকে আপনার সঙ্গেও হতে পারে। এই বাংলায় শিল্পীদের কোনও দাম নেই।" পোস্টারের শেষে 'জয় বাংলা' ও মাঝে 'দিদি নম্বর ওয়ান' লেখা।
স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা সুরেশ সাউ বলেন, "তৃণমূলের জমানায় শিল্পী হোক বা সাহিত্যিক, কারও কোনও দাম নেই। এটা নতুন কোনও ব্যাপার না। কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ায় তা আরও একবার প্রমাণিত। যে পোস্টার দেওয়া হয়েছে, সেখানেও সেটাই বলা হয়েছে। এই পোস্টার মেরেছে তৃণমূলেরই একাংশ।"
[আরও পড়ুন: বুলেটে ব্যালট রোখার ছক জেহাদিদের! ভোটের কাশ্মীরে খতম লস্কর জঙ্গি]
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোট প্রচারে বেরিয়ে উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে (Kanchan Mullick) গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কাঞ্চনকে নিয়ে গ্রামে গেলে মহিলারা রিঅ্যাক্ট করছে। তার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতির 'হট টপিক' হয়ে ওঠে বিষয়টি।
পোস্টার বির্তকে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehasish Chakraborty) বলেন, " যাদের সর্মথন নেই, সেই দল বা কোনও ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে এই সব পোস্টার মারছে। এতে মানুষের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। মানুষ নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দলকে হারাবে। এই সরকার সংবিধানের স্তম্ভগুলোকে ভাঙছে। ফলে এটা অধিকার রক্ষার লড়াই। বাংলার মানুষ ভোট দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীদের জেতাবেন।" কাঞ্চন কাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, "এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। প্রার্থী নিজে নিজে যা বুঝেছেন বলেছেন। এটা খুব ছোট ব্যাপার। এই বৃহত্তর লড়াইয়ে এর কোনও জায়গা নেই।"