সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। তার আগে ফের হুগলির বিজেপি (BJP) প্রার্থীর মুখে উঠে এল সিঙ্গুর (Singur) ইস্যু। জানালেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে টাটা (TATA) গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনবেন। পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূল প্রার্থী বললেন, রাতে মনে হয় স্বপ্ন দেখেছে টাটাকে নিয়ে। সব দেখেশুনে সিঙ্গুর তথা হুগলিবাসীর আক্ষেপ, ভোট এলেই সব রাজনৈতিক দলের মনে পড়ে সিঙ্গুরের কথা। কিন্তু, ভোট মিটলে আর কাউকে দেখা যায় না। গত কয়েকদিন ধরে প্রচারে নেমে সিঙ্গুর থেকে টাটাদের চলে যাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বিজেপি ক্ষমতায় এলে টাটাকে ফেরানো হবে, এমনটাই বলে বেড়াচ্ছেন লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। শুক্রবারও সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনার 'প্রতিশ্রুতি' দেন লকেট। তিনি বলেন, "সিঙ্গুরের ক্ষেত্রে টাটারা এখনও একশো শতাংশ আগ্রহী। আমরা ক্ষমতায় এলে টাটাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসব।"
[আরও পড়ুন: ইডির পর NIA, এবার ভূপতিনগরে ‘আক্রান্ত’ কেন্দ্রীয় এজেন্সি]
সিঙ্গুরের বেড়াবেড়িতে প্রচারের ফাঁকে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে অভিযোগ করেন, "পরিবেশগতভাবে বাংলায় শিল্পের পরিবেশ আছে। কিন্তু সিন্ডিকেটবাজি, তোলাবাজি এবং তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে কোনও শিল্প আসতে পারছে না এ রাজ্যে। যুবকদের চাকরি নেই বলে তাঁরা পরিবার তৈরি করতে পারছেন না। এ কথা গ্রামের মহিলারাই জানাচ্ছেন। আমরা চাই, সিঙ্গুরে শিল্প আসুক, ছেলেরা কাজ পাক, পরিবার তৈরি হোক এবং বাড়িতে মা লক্ষ্মী আসুক।"
লকেটের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন তৃণমূল প্রার্থী রচনা (Rachana Banerjee) বাঁশবেড়িয়ায় বলেন, "পাঁচ বছর আগেও টাটাকে আনার কথা মনে পড়ল না। হঠাৎ ২০২৪ সালে এসে মনে পড়ল? রাতে মনে হয় স্বপ্ন দেখেছে টাটাকে নিয়ে।" সিঙ্গুর থেকে টাটা বিদায়ের ১৬ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তারপরও এখনও ভোটের আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে সিঙ্গুর যেন একেবারে 'হট টপিক'। বিরোধীদের অভিযোগ, সিঙ্গুর থেকে টাটার প্রকল্প গুজরাতে সরে যাওয়ার পর সেই জমিতে কৃষি, শিল্প-কোনওটাই হয়নি।
[আরও পড়ুন: বারাকপুরের ISF প্রার্থী সিপিএম নেতার ভাই! ‘শ্যাম রাখি না কূল রাখি’ দশা দাদার]
পাল্টা শাসকদলের বক্তব্য, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, জমি দিতে অনিচ্ছুক কৃষকদের আবার জমি ফেরত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সেই জমি যে আর চাষের যোগ্য নেই, এমন অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। তাঁদের অনুযোগ, ভোট এলেই সকলের সিঙ্গুরের কথা মনে পড়ে। তারপর যে কে সেই। পুরনো ইস্যু চব্বিশের ভোটে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে, এখন সেটাই দেখার।