সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই অবস্থাকে কী বলতেন লালমোহন গাঙ্গুলি ওরফে জটায়ু? 'হরিয়ানায়ায় হারাকিরি' নাকি বর্তমান অবস্থায় বিজেপির (BJP) দিক থেকে ভাবলে-'হরিয়ানায় হাহাকার'! গতকাল তিন নির্দল বিধায়ক নবাব সিং সাইনির নেতৃত্বাধীন সরকারের থেকে সমর্থন তুলে কংগ্রেসকে (Congress) সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। এর পর সরকার পড়ে যাওয়া নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিলেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের (Manohar Lal Khattar) দাবি, গতকালের ঘটনার প্রভাব পড়বে না। তাঁর আরও দাবি, বিরোধী পক্ষের বেশ কিছু বিধায়ক বিজেপি সরকারের সঙ্গে যোগযোগ রাখছে।
মঙ্গলবার শিবির বদল করেন নির্দল বিধায়ক সোম্বির সাংওয়ান, রনধীর গোল্লেন এবং ধরমপাল গোন্ডের। হরিয়ানার (Haryana) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা এবং প্রদেশ কংগ্রস প্রধান উদয় ভানের উপস্থিতিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন তিন বিধায়ক। যার পর হরিয়ানায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। যদিও এদিন খট্টর বলেন, 'নির্বাচনের মরসুমে কে কোথায় যাচ্ছে তার প্রভাব পড়বে না। তাছাড়া বেশ কিছু বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। অনেক নেতা আমাদের সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন। এখন তাঁদের কর্তব্য শীর্ষ নেতাদের নিরাপত্তা দেওয়া। কদিন বাদেই প্রকাশ্যে আসবে যে ঠিক ক'জন নেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।' বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা আরও দাবি করেন, আসন্ন নির্বাচনে হরিয়ানার ১০ আসনেই গেরুয়া শিবির জয়লাভ করবে।
[আরও পড়ুন: চাকরির টোপ দিয়ে ভারতীয়দের রাশিয়ায় যুদ্ধে পাচার, সিবিআই তদন্তে গ্রেপ্তার ৪]
যদিও কংগ্রেসের দাবি, বিধানসভায় 'ম্যাজিক ফিগার' হারিয়েছে বিজেপি। অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে হবে রাজ্য। যেহেতু বিজেপি আগেই জেজেপির সমর্থন হারিয়েছে। এবার নির্দলরাও সমর্থন তুলে নিল। এর ফলে ৮৮ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় বিজেপির মসনদ টলমল। তাদের বিধায়ক সংখ্যা ৪০। কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী নবাব সিং সাইনিকে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের অক্টোবর বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা হরিয়ানায়। তার আগেই সরকার পতন হবে? সেটাই এখনও কোটি টাকার প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: টাকা না দেওয়ায় পড়ুয়াকে নগ্ন করে যৌনাঙ্গে ইট বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল]