সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেগাসাস (Pegasus) ইস্যুতে বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভের মধ্যেই লোকসভায় একপ্রকার চমকপ্রদভাবে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিল কেন্দ্র। আরও চমকপ্রদভাবে কেন্দ্রের আনা এই সংশোধনী বিলটিকে সমর্থন করল বিরোধী শিবিরও। আসলে কেন্দ্রের আনা এই OBC বিল তথাকথিত পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সমর্থনে। তাই বিরোধী শিবির থেকেও তেমন বিরোধিতা দেখা গেল না।
কী ছিল এই OBC বিলে? কেন্দ্রের আনা এই ওবিসি বিল আসলে সংবিধানের ১২৭ তম সংশোধনী। এই বিল আইনে পরিণত হলে, এরপর থেকে রাজ্য সরকারগুলিও অন্যান্য অনগ্রসর জাতিতে কাদের কাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা চিহ্নিত করতে পারবে। এই বিলটি কেন্দ্র পেশ করেছিল মূলত ২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে অকেজো করতে। ২০১৮ সালে মারাঠা সংরক্ষণ মামলায় শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, OBC কারা হবেন, তা শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকারই নির্ধারণ করতে পারবে। এর ফলে অনেক রাজ্যেই পিছিয়ে পড়া বহু সম্প্রদায় সংরক্ষণের আওতা থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছিল। এদিন কেন্দ্রের পেশ করা বিলটিতে শিব সেনা একটি সংশোধনের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু, শিব সেনার সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। লোকসভায় ওবিসি আইন পাশ হওয়ার পর এবার রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করবে কেন্দ্র। সেখানে সবুজ-সংকেত পেলে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে বিলটি।
[আরও পড়ুন: SSC চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক শিক্ষামন্ত্রীর, আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত]
লোকসভায় (Lok Sabha) এই আইন পাশ করাতে এদিন দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন ছিল।গত সপ্তাহের শেষেই এই সংশোধনী পেশের কথা বিরোধীদের জানিয়েছিল কেন্দ্র। যা কিনা সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক কৌশলও বটে। কারণ, কেন্দ্রের এই সংশোধনীর বিরোধিতা করতে পারেনি বিরোধীরাও। যার ফলে এদিন পেগাসাস ইস্যুতে লোকসভায় হট্টগোলের বহর কম ছিল। তাছাড়া উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের (UP Assembly Election) আগে কেন্দ্রের এই বিল পেশ করাটাও বেশ চমকপ্রদ। কারণ বিজেপি চাইছিল, ওবিসি সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজ্যের হাতেই তাদের চিহ্নিত করার ক্ষমতা দিয়ে উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে অনগ্রসর শ্রেণিকে বার্তা দেওয়া। উত্তরপ্রদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ ওবিসি। বিধানসভার আগে এই ভোটব্যাংককে নিজেদের দিকে টানতে চাইছে বিজেপি।