সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুর ইস্যুতে হট্টগোলের মাঝেই লোকসভায় নতুন বন সংরক্ষণ সংশোধনী বিল (Forest Conservation bill) পাশ করিয়ে নিল মোদি সরকার। কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই বুধবার বিলটি পাশ হয়ে যায় লোকসভায়। বিতর্কিত এই বিলটি আইনে পরিণত হলে অরণ্যের অধিকার খর্ব হবে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
১৯৮০ সালের বন সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, বনভূমি এলাকায় কোনও ধরনের প্রকল্পের কাজ করা যাবে না। সেই আইন সংশোধন করে ‘জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত প্রকল্প ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রকল্পের’ক্ষেত্রে বনভূমিকে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে দিল কেন্দ্র। এর ফলে বড় বড় শিল্পপতিরা চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক এবং ইকো-ট্যুরিজম বা জাতীয় স্বার্থের কোনও প্রকল্পের নামে অনায়াসে বনভূমিকে ব্যবহার করতে পারবেন। অরণ্যে বসবাসকারী আদিবাসীদের উৎখাতও করতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: বিহারে বিদ্যুৎ মাশুলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশের গুলি, মৃত ১, নীতীশকে তোপ বিজেপির]
জনজাতিদের স্বার্থে ইউপিএ (UPA) আমলে ‘অরণ্যের অধিকার আইন’পাশ করানো হয়েছিল। যে আইন অনুযায়ী মন্ত্রকের অনুমতি ব্যতীত কোনও প্রকল্পেই বনভূমি ব্যবহার করা যেত না। নতুন সংশোধনী পাশ করিয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বনভূমিকে কার্যত এই আইনের আওতা থেকে বের করে দিল বিজেপি (BJP) সরকার। নতুন আইন অনুযায়ী জাতীয় সুরক্ষার প্রকল্প, রাস্তা তৈরি বা রেললাইন তৈরির জন্য কোনও অনুমতি ছাড়াই সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত বনভূমিকে ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে জঙ্গলে বসবাসকারী আদিবাসীদের জীবন বিপন্ন হবে বলে দাবি বিরোধীদের।
[আরও পড়ুন: অসমের হত্যাকাণ্ডে অসহায় পরিবার, ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন বিজেপি বিধায়ক]
বিরোধীরা বলছে, মোদি (Narendra Modi) ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের হাজার হাজার বর্গ কিলোমিটার বনভূমি পাইয়ে দিতেই এই আইন পাশ করানো হয়েছে। এর আগেও বিলটি লোকসভায় পেশ করেছিল কেন্দ্র। তবে সেবার সেটা পাঠানো হয় সিলেক্ট কমিটিতে। মণিপুর ইস্যু নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যে এবার কার্যত বিনা বাধায় একপেশেভাবে এই বিল পাশ করিয়ে নিল মোদি সরকার।