সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদিফাটা গরমের মাঝে দেশজুড়ে ভোটাভুটি। গরমকে উপেক্ষা করে কোমর বেঁধে প্রচারে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী সকলে। তাপমাত্রা বেশি হলেও ভোট দিতে যান, রানাঘাটের নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ থেকে বিশেষত মহিলা ভোটারদের আর্জি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামী ১৩ মে রানাঘাটে ভোট। ওইদিন হেঁশেলের দায়িত্ব বাড়ির পুরুষদের নেওয়ার পরামর্শ তৃণমূলের 'সেনাপতি'র।
রানাঘাটের সভামঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক ইস্যুতে সুর চড়ান অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সিএএ থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা - প্রায় সব ইস্যুতেই ঝাঁজালো আক্রমণ করেন তিনি। সিএএ সমর্থনের শর্তও বেঁধে দেন। বলেন, ''বিজেপি অনেক জায়গায় বলছে, সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কেড়ে নেওয়ার নয়। তর্কের খাতিরে ধরে নিয়ে বলছি, যারা আবেদন করবে তাদের ৭ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব দিন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রদপ্তর নোটিফিকেশন করে যদি বলে যে, ভারতবর্ষে আমরা সিএএ-র পর এনআরসি করব না, আমি সিএএ-কে সমর্থন করব।''
[আরও পড়ুন: জয়সলমেরকে টেক্কা কলকাতার, ৪৫ ডিগ্রি পার পানাগড়ে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সানস্ট্রোকও]
সভার প্রায় শেষের দিকে কোচবিহারের বিজেপি নেত্রী দীপা চক্রবর্তীর অডিও বার্তা শোনান অভিষেক। ওই অডিও বার্তায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। বিজেপি নেত্রী বলছেন, "ভোটে বিজেপি জিতলে ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকার পড়ে যাবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বেশিদিন চলবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে।" ওই অডিও বার্তারই পালটা জবাব দেন অভিষেক। প্রচণ্ড গরমে কষ্ট হলেও মহিলাদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান। অভিষেকের কথায়, "ভোটের দিন রান্নার দায়িত্ব নিক ভাইরা।"
রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকেও সরাসরি আক্রমণ করেন। বিদায়ী সাংসদ এলাকার উন্নয়নে কোনও কাজ করেনি বলেই অভিযোগ তাঁর। বলেন, "আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি জগন্নাথ সরকার কোথাও গত পাঁচ বছরে উন্নয়নমূলক আলোচনা করেননি। শুধু তাই নয় রানাঘাটবাসীর জন্য লোকসভায় তিনি কোন প্রশ্ন করেননি। শুধুমাত্র দিল্লির তাঁবেদারি করে গিয়েছেন। দিল্লি থেকে যা নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি তাই শুনেছেন। আর এসি ঘরে বসে মানুষের মজা দেখেছেন।" তাঁত শিল্পীদের জন্য কেন্দ্রের মোদি সরকার কিছু করেনি বলেও অভিযোগ তাঁর। এদিকে, ভোটের মুখে রানাঘাটে পদ্মশিবিরে বড়সড় ভাঙন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে নেন রানাঘাটের বিজেপি নেত্রী পূর্ণিমা দত্ত। তিনি বলেন, "গত ৫ বছর বিজেপির বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকার শুধু বেইমানি করেছেন। তাই বিজেপির প্রতি আস্থা হারিয়ে তৃণমূলে যোগদান।"