অভিনেত্রী থেকে নেত্রী লকেট, এক দশকের মার্কশিটে পদ্মপ্রার্থীর বিবর্তন-কাহন
সেলুলয়েডের মায়া কাটিয়ে রাজনীতির ময়দানে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাপুটে নেত্রী হয়ে ওঠার সফর একঝলকে।
Tap to expand
দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরের পুরোহিত বংশের কন্যা লকেট চট্টোপাধ্যায়। ব্যক্তিগত জীবনে বরাবর মাতৃশক্তি, নারীশক্তিতে বিশ্বাসী। রাজনীতির ময়দানেও সেই ঝাঁজ বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
Tap to expand
যোগমায়া দেবী কলেজের বিজ্ঞানের ছাত্রী লকেট শৈশব থেকেই নাচতে ভালোবাসতেন। অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থাকলেও রাজনীতিতে আসার কোনও পরিকল্পনাই তাঁর ছিল না। দক্ষ ক্ল্যাসিকাল ডান্সার হিসেবে মমতা শঙ্করের ব্যালে ট্রুপের সঙ্গে বিদেশেও পারফর্ম করেছেন।
Tap to expand
অভিনেত্রী হিসেবে প্রথমে শিঁকে ছেড়ে টেলিভিশনে। তবে বড়পর্দাতেও জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন ধীরে ধীরে। চিরঞ্জিৎ, প্রসেনজিৎ, অভিষেক অনেকের ছবিতেই হয় ননদ কিংবা বোন বা জা হিসেবে ধরা দিয়েছেন তিনি। নায়িকা হিসেবেও অবশ্য একাধিক সিনেমা করেছেন।
Tap to expand
‘মিনিস্টার ফাটাকেষ্ট’, 'ক্রান্তি’, ‘অভিমন্যু’, ‘অগ্নি’, ‘মায়ের আঁচল’, ‘পরিবার’, ‘ত্যাগ’, ‘শুভদৃষ্টি’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’, ‘লে হালুয়া লে’, ‘অভিশপ্ত নাইটি’ এবং ‘খোকাবাবু’র মতো বহু বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন লকেট। তার পরই রাজনৈতিক কেরিয়ারে হাতেখড়ি। আর সেই সেলুলয়েডের মায়া কাটিয়েই লকেট চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে দুঁদে নেত্রী।
Tap to expand
রাজনৈতিক ইনিংস যদিও অরূপ বিশ্বাসের মাধ্যমে 'দিদি' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই শুরু করেছিলেন, তবে ২০১৫ সালে তৃণমূলের থেকে সেই ঝলমলে 'লকেট' ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। দলের অগ্রজ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে অনুসরণ করেই বঙ্গ বিজেপির 'গ্ল্যামার গার্ল' তখন সবে পাকা রাজনীতিক হওয়া শুরু করেছেন।
Tap to expand
আর গেরুয়া শিবিরে পা দিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সারদা-কাণ্ড নিয়ে সুর চড়ানো শুরু করেন। । যে আওয়াজ সুদূর রাজধানী অবধি পৌঁছতে দেরি হয়নি! ২০১৭ সালে বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদপ্রাপ্তি হয় তাঁর।
Tap to expand
তার পর আর রাজনীতির ময়দানে ফিরে তাকাতে হয়নি প্রতিবাদী লকেটকে। পরের বছর ২০১৮ সালেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে এই লকেট চট্টোপাধ্যায়কেই মহিলা মোর্চার সভাপতি করা হয়। তা নিয়ে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব হলেও পরে শান্তির সহাবস্থান হয়েছে।
Tap to expand
২০১৯ সালে হুগলি থেকে জিতে সাংসদ হওয়ার পরই বঙ্গ বিজেপি তো বটেই, পরবর্তীতে জাতীয় স্তরেও নেত্রীর লকেটের কদর বাড়ে। তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিসর শুধু বাংলা আটকে থাকেনি। বরং উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটের সময়ে নিজের দক্ষ পিআর স্কিলের মাধ্যমে দলের হয়ে বাংলা এবং সেই রাজ্যের মধ্যে সেতুবন্ধনও করেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। উত্তরাখণ্ডে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব।
Tap to expand
খোদ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও লকেটের দারুণ সুসম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তাঁর হাতে রাখিও বেঁধেছিলেন। জেপি নাড্ডা তাঁর কৃষক সুরক্ষা অভিযানের জন্য বঙ্গসফরে এসে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে রেখেছিলেন প্রথম সারিতে।
Tap to expand
বিগত কয়েকটি ভোটে লকেটের অভিনব নির্বাচনী প্রচার তাক লাগিয়েছে। কখনও লোকাল ট্রেনে, সাইকেলে, কখনও মহিলা মোর্চা নিয়ে ফেরি করে গঙ্গাবক্ষে আবার কখনও বা গরুর গাড়ি চড়ে ভোটপ্রচার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
Published By: Sandipta BhanjaPosted: 07:09 PM May 19, 2024Updated: 07:44 PM May 19, 2024
সেলুলয়েডের মায়া কাটিয়ে রাজনীতির ময়দানে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাপুটে নেত্রী হয়ে ওঠার সফর একঝলকে।