সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’। বিবিসির ডকু-সিরিজ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। এবার ব্রিটেনের (UK) ‘হাউস অফ লর্ডসে’র সদস্য লর্ড রামি রেঞ্জার চিঠি লিখে বিবিসিকে আরজি জানালেন, সিরিজটির দ্বিতীয় পর্বের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হোক। তাঁর দাবি, ইতিমধ্য়েই ব্রিটিশ হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, সেই উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দেবে নতুন পর্বটি। পাশাপাশি রামি পরিষ্কার জানতে চেয়েছেন, এই ধরনের সিরিজের পিছনে পাক বংশোদ্ভূতদের কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা।
উল্লেখ্য, শুরু থেকেই বিতর্ক ঘনিয়েছে এই সিরিজকে ঘিরে। গত মঙ্গলবার সম্প্রচারিত হয় ধারাবাহিক এই সিরিজের প্রথম পর্ব। কিন্তু পরদিনই সেটা ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্ব ২৪ জানুয়ারি সম্প্রচারিত হওয়ার কথা। যার বিষয়বস্তু হল গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সময়কাল। BBC জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় কীভাবে ভারতের মুসলিমদের প্রতি তাঁর সরকারের মনোভাব নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, সেটাই এই সিরিজে দেখানো হবে। ভারতে না দেখানো হলেও দেশের বাইরে থাকা ভারতীয়রা ইতিমধ্যেই এই সিরিজটির তীব্র সমালোচনা শুরু করেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘রোজ সন্ধেয় সীতার সঙ্গে বসে মদ্যপান করতেন রাম’, বিখ্যাত চিন্তাবিদের মন্তব্যে বিতর্ক]
এই পরিস্থিতিতে রামি জানিয়েছেন, এমন একটা সময়ে বিবিসি এই সিরিজটির সম্প্রচার শুরু করেছে, যখন জি২০’র সভাপতিত্বের দায়িত্বে ভারত, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং ভারত ও ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দিকে এগোচ্ছে। রামির দাবি, তিনি সিরিজটি দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘বিবিসি তাদের ডকু সিরিজে পুরনো ক্ষতকে খুঁচিয়েছে। যেভাবে ব্রিটিশ হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে এই তথ্যচিত্রে ভারতকে অসহিষ্ণু দেশ হিসেবে দেগে দেওয়া হয়েছে। যেন মুসলিমরা এখানে নিরাপদ নন। সত্য়িই তাই হলে মুসলিমরা তো ভারত ছেড়ে চলে যেতেন। কিন্তু ঘটনা হল, মুসলিম জনসংখ্যায় পাকিস্তানের চেয়ে ভারত এগিয়ে।’ এদিকে সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বিবিসি’র শেয়ার করা তথ্যচিত্রের টুইট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে।