অর্ণব দাস, বারাসত: হাবড়া শহরে পাগল কুকুরের তাণ্ডব। সেই কুকুরের কামড়ে জখম শিশু, মহিলা-সহ ২৬ জন। জখমদের মঙ্গলবার রাতেই হাবড়া স্টেট জেলারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধে থেকে শুরু হয় পাগল কুকুরটির দাপাদাপি। হাবড়ার দেশবন্ধু পার্ক, হিজলপুকুর ১ এবং ২ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় কালো-সাদা রঙের কুকুরটি প্রথমে পথচলতি কয়েকজনকে কামড়ায়। যার জেরে আতঙ্ক ছড়ায়। কুকুরের কামড়ের ভয়ে জনবহুল এলাকা কার্যত জনহীন হয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই রাজ্যে ফের প্রাথমিক টেট, দিনক্ষণ ঘোষণা করল পর্ষদ]
এরপর রাস্তা ছেড়ে পাড়ার মধ্যে ঢুকে পড়ে সে। একটি বাড়িতে ঢুকে এক পড়ুয়াকেও কুকুরটি কামড়েছে বলে জানা গিয়েছে। একবার হাবড়া থানা চত্বরেও ঢুকে পড়ে। তবে কোনও পুলিশকে কামড়ায়নি। সন্ধে গড়িয়ে রাত যত বেড়েছে, ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পাগলা কুকুরের কামড়ে আক্রান্তের সংখ্যা। সকলকেই চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।
হাবড়া হাসপাতালের সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস বলেন, শহরের ২৬জন বাসিন্দাকে পাগলা কুকুরটি কামড়েছে। দু’জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিদের হাবড়া হাসপাতালেই চিকিৎসা করানো হয়েছে। জখম বিক্রম দাস বলেন, “রাস্তার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। ওই সময় পাগলা কুকুরটি এসে কামড়ে দেয়। শুধু আমাকেই নয়, এলাকার বহু মানুষকেই কামড়েছে।” বিপ্লব পাল বলেন, “আমার ছেলে রাস্তার ধারের ঘরে পড়ছিল। পাগল কুকুরটা ঘরে ঢুকে ছেলেকে কামড়ে দেয়।”
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির প্রতিহিংসার শিকার’, অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি INDIA জোটের সমন্বয় কমিটির]
কুকুরের আতঙ্কে রাতে বাড়ি থেকে বের হতেই ভয় পাচ্ছিলেন বহু বাসিন্দা। বাধ্য হয়ে আবার অনেকেই লাঠি হাতে বাড়ির বাইরে বের হয়েছেন। দেশবন্ধু পার্ক এলাকার বাসিন্দা সনাতন দত্ত বলেন, “পাগলা কুকুরটির জন্য এলাকায় আতঙ্কিত ছড়িয়েছে। তাই বাড়ি থেকে বের হতে লাঠি একমাত্র ভরসা।” আক্রান্তদের হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে দেখতে এসে পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, “কুকুরটিকে ধরার জন্য পশুপ্রেমী সংগঠনকে খবর দেওয়া হয়। রাতভর কুকুরটিকে ধরার জন্য চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু ধরা যায়নি। কুকুরটি গাইঘাটার দিকে চলে গিয়েছে।”