সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গতকাল রাত থেকে একের পর এক ফোন পাচ্ছি। সকলেই জানতে চাইছে হঠাৎ ফেসবুকে প্যাক-আপ কথাটি কেন লিখেছি। তবে পরিষ্কার করে বলি শুনুন…।’ নিজের স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে এভাবেই ফেসবুক লাইভে এসে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। সঙ্গে জানিয়ে দিলেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও।
দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থেকেও তাঁর জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাটা পড়েনি। তাই তো আজও তিনি রাস্তায় নামলেই হাজারো স্লোগান ওঠে, ‘যব তক সুরজ চাঁদ রহেগা, মদন মিত্রকা নাম রহেগা।’ তাঁর লাইভেই তা স্পষ্ট। নিজের জনপ্রিয়তা নিয়ে গর্বিত মদন মিত্র তাই বর্তমানে তৃণমূলের নামী সাংসদ, নেতা-মন্ত্রীদের খানিকটা খোঁচা দিয়েই বলে দিলেন, “যাঁরা জনপ্রিয় বলে পদগুলো পেয়েছেন, তাঁদের ছ’বছর পর দেখব। রাজনীতির ময়দান থেকে যদি সরে যান, তাহলে তারপরও কতখানি জনপ্রিয় থাকেন।” আকারে ইঙ্গিতে যেন বলে দিতে চাইলেন, আগামী বছর নির্বাচনের আগে দলের উচিত তাঁকেও আপন করে নিয়ে বিশেষ পদ দেওয়ার। কারণ দলের জন্য যেমন তিনি পরিচিতি পেয়েছেন, তেমনই তিনিও এই দলকে অনেক কিছু দিয়েছেন। অনেক জয় এনে দিয়েছেন। দলের সঙ্গে কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। ভবিষ্যতেও করবেন না।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ কমলেও মৃত্যুহার বেশি, কলকাতায় বাড়ল কনটেনমেন্ট জোন]
এই মধ্যেই আবার টেনে আনেন দলবদলের জল্পনার প্রসঙ্গ। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দিয়ে কামারহাটির প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, “আমিও চপারে চড়িনি। তাই বলে কি জনপ্রিয় হইনি?” সেই কথার রেশ টেনেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দল তাঁর দিক থেকে সাময়িকভাবে মুখ ফিরিয়ে নিলেও তিনি আজীবন এই দলের বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবেই কাজ করে যাবেন। ‘লোভে’ পা দেবেন না। মদন মিত্রর কথায়, “অনেকে ভাবেন আমার হয়তো এখন দুঃখ হয়, রাগ হয়। কিন্তু জানবেন, মদন মিত্র সেই আগের মতোই রয়েছে। যে প্রয়োজনে প্রাণ দেবে, কিন্তু বেইমানি করবে না।”
আর প্যাক-আপ? লাইভে নেতা বলেন, প্যাক আপ মানে শুধুই কোনও কিছু শেষ করে ফেলা? এভাবে আসলে প্যাক আপ মানে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে আসরে নামা। বুঝিয়ে দেওয়া তৃণমূলের ক্ষমতা ও জনপ্রিয়তা কতখানি। আর ২০২১ নির্বাচনে সেই দলকেই জেতানো। অর্থাৎ দল তাঁকে কোনও পদ না দিলেও আগামী নির্বাচনে নিজের দলকে জেতাতে সবরকম প্রয়াস করবেন, সেটাই বুঝিয়ে দিলেন মদন মিত্র।