অর্ণব দাস, বারাকপুর: দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এর মাঝেই হাসপাতালে এসে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্র। একইসঙ্গে এই হাসপাতালে দালালরা টাকার বিনিময়ে প্রতি রাতে রক্ত বিক্রি করে বলেও অভিযোগ তুললেন শাসকদলের এই চর্চিত বিধায়ক। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রমেশ হালদার বার্ধক্যজনিত রোগে অসুস্থ হলে তাঁকে শুক্রবার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসক রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এরপরই এক দালালের ফাঁদে পড়েন রোগীর পরিবার। অভিযোগ, সেই দালাল আইসিইউতে ভর্তি করানোর জন্য ৬ হাজার টাকা দাবি করে। এই নিয়ে দীর্ঘক্ষণ হয়রানির শিকার হতে হয় রোগী এবং তাঁর পরিবারকে। পরে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই মৃতের ছেলে গোটা ঘটনা জানায় বিধায়ক মদন মিত্রকে।
[আরও পড়ুন: ‘এত ভালো সফর আগে কম দেখেছি, অনেক কাজ হয়েছে’, বিদেশ থেকে ফিরে খুশি মুখ্যমন্ত্রী]
দালালচক্রের হয়রানির অভিযোগে রোগী মৃত্যুর খবর জেনে রাতেই হাসপাতালে আসেন মদন মিত্র। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চলা দালালরাজের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিধায়ক বলেন, “সাগর দত্ত হাসপাতালে ‘এ পজেটিভ’ রক্তের জন্য ১৭০০ টাকা চায় দালালরা। প্রতিরাতে এই হাসপাতালের দালাল চক্র রক্ত বিক্রি করে। এই চক্রের সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত আছে তা বার করতে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।” এরপরই মদন মিত্রর হুঁশিয়ারি, “যে দালালের জন্য রোগীর মৃত্যু হল তার নাম, ছবি পেয়েছি। আমি কথা দিয়ে গেলাম এটাই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ দালালরাজ। এরপর যদি একটা দালালকে দেখা যায়, এলাকাবাসীকে বলব গায়ে হাত দেবেন না, শুধু পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আগে আমাদের হাতে দেবেন।”