সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও পুলিশকর্মীর মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণের অর্থ তাঁর স্ত্রীর পাশাপাশি বাবা-মাও পাবেন। শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের কীর্তি চক্র নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বড় ঘোষণা মধ্যপ্রদেশ সরকারের। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব (Mohan Yadav) ঘোষণা করেছেন এই নিয়ম চালু হবে রাজ্য পুলিশের কর্মীদের জন্য।
কিছুদিন আগেই শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের ‘কীর্তি চক্র’ সম্মান নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসে সিয়াচেনের (Siachen) এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারকাজে শামিল হয়েছিলেন অংশুমান (Anshuman Singh)। অনেকের প্রাণ বাঁচালেও সিয়াচেনে শহিদ হন তিনি। তার পরে গত ৫ জুলাই অংশুমানকে কীর্তি চক্র সম্মানে ভূষিত করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সম্মান নিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির ছিলেন প্রয়াত অংশুমানের স্ত্রী স্মৃতি এবং মা মঞ্জু। কিন্তু রাষ্ট্রপতির থেকে পাওয়া এই সম্মান নিজের বাপের বাড়িতে নিয়ে চলে গিয়েছেন স্মৃতি, এমনটাই অভিযোগ এনেছেন অংশুমানের বাবা।
[আরও পড়ুন: দোকানে থাকতে হবে মালিকের নাম, এবার কানোয়ার যাত্রার সব রুটেই নির্দেশিকা জারি যোগীর]
সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ছেলের সরকারি নথিপত্রের সমস্ত জায়গায় ঠিকানা বদলে দিয়েছে তাঁর পুত্রবধূ। সমস্ত ক্ষেত্রে নিজের বাপের বাড়ির ঠিকানা লিখেছেন যেন তাঁর সঙ্গেই সরাসরি যোগাযোগ করে সেনা (Indian Army) কর্তৃপক্ষ। এমনকি অংশুমানের সমস্ত ছবি এবং অন্যান্য জিনিসপত্রও হাতিয়ে নিয়েছেন স্মৃতি। অংশুমানের মায়ের কথায়, “রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে আসার সময় সেনা আধিকারিকদের অনুরোধে একবার কীর্তি চক্রটা ছুঁয়ে ছবি তুলেছিলাম। তার পরেই ওই মেডেল নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছ স্মৃতি।” ছেলেকে হারানো বাবা-মায়ের আর্জি, এরকম মেডেলের একটি রেপ্লিকার ব্যবস্থা করা হোক। যেন বাবা-মাও ছেলের স্মৃতি আঁকড়ে বাঁচতে পারেন।
[আরও পড়ুন: সংরক্ষণে ‘না’, আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ ওপার বাংলা, প্রতিবাদে গর্জে উঠল কলকাতা]
ওই বিতর্কের পরই মধ্যপ্রদেশ সরকার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল। এমনিতে মধ্যপ্রদেশে কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও পুলিশকর্মীর মৃত্যু হলে সরকারের তরফে এক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় তাঁর পরিবারকে। এত দিন পুলিশকর্মী বিবাহিত হলে সেই অর্থ পেতেন তাঁর স্ত্রী। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মৃত্যুর পরের আর্থিক সহায়তার সেই অর্থ স্ত্রী এবং ওই পুলিশকর্মীর বাবা-মায়ের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ হবে। ওই পুলিশকর্মী কোনও সম্মান পেলে সেটার অধিকার থাকবে মা-বাবারও।