সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাইনে ৩০ হাজার। চাকরি করছেন ১৩ বছর। সেই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। যার বহর দেখে চোখ কপালে উঠছে মধ্যপ্রদেশের লোকায়ুক্তের।
মধ্যপ্রদেশের ভোপালের হাউজিং কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার হেমা মীনা (Hema Meena)। ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ দায়ের হয়। গত তিন বছর ধরেই মীনার বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল মধ্যপ্রদেশের লোকায়ুক্ত। বৃহস্পতিবার আচমকা তাঁর বাংলোয় হানা দিয়ে বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, স্রেফ মীনার বাংলোতে যে পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে সেগুলিরই মূল্য অন্তত ৫-৭ কোটি টাকা। উদ্ধার হওয়া সম্পত্তির তালিকা দীর্ঘ।
[আরও পড়ুন: ঘুষ দিয়ে চাকরির প্রমাণ দেখান, প্রাথমিক মামলায় বিকাশকে বলল সুপ্রিম কোর্ট, প্রশ্নের মুখে পর্ষদও]
পুলিশ সূত্রে খবর, তল্লাশিতে মীনার বাংলো থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০টিরও বেশি বিলাসবহুল গাড়ি, ৩০ লক্ষ টাকার একটি টিভি, ৫০টি বিদেশি কুকুর। যেগুলির এক একটি দাম লাখ টাকারও বেশি। শুধু তাই নয়, কুকুরদের রুটি খাওয়ানোর জন্য প্রায় আড়াই লক্ষ্য টাকা দামের একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিনও রয়েছে। শুধু ভোপালে নয়, মধ্যপ্রদেশজুড়েই সম্পত্তি রয়েছে ওই ইঞ্জিনিয়ারের। ভোপালের বিলখিরিয়া গ্রামে ২০ হাজার বর্গ -ফুটের একটি জমি রয়েছে মীনার। সেই জমিতে এক কোটি টাকারও বেশি খরচ করে একটি বাংলো নির্মাণ করেছেন। ৪০টি ঘর রয়েছে সেই বাংলোতে। ২০-২৫ জন কর্মচারিও রয়েছে ওই বাংলোয়। যদিও সেই জমিটি রয়েছে মীনার বাবার নামে। এছাড়া মধ্যপ্রদেশের বিদিশাতেও রয়েছে তাঁর সম্পত্তি। অভিযুক্ত ওই কৃষি সহায়ক ইঞ্জিনিয়ারের দু’টি ট্রাক, একটি ট্যাঙ্কারও রয়েছে।
[আরও পড়ুন: দ্য কেরালা স্টোরি: শুভাপ্রসন্নকে নিশানা সায়নী ঘোষের, ‘ওর জন্ম কবে?’, পালটা প্রশ্ন শিল্পীর]
লোকায়ুক্তের (Lokayukta) হিসাব অনুযায়ী, চাকরিজীবনে হেমার রোজগার হওয়া উচিত ১৮ লক্ষ টাকার। সেখানে যে পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে, সেটা অন্তত তাঁর সম্পত্তির ২৩২ গুণ। পুলিশ মনে করছে, উদ্ধার হওয়া এই বিপুল সম্পত্তি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। হেমার আরও বিপুল সম্পত্তি আছে। এখন প্রশ্ন হল, প্রশাসনের নাকের ডগায় একজন সাধারণ ইঞ্জিনিয়ার এত টাকার সম্পত্তি করলেন কী করে? নাকি এর সঙ্গে প্রশাসনের কোনও রাঘব বোয়াল যুক্ত?