সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক মহিলা। অথচ তাঁর দেখভালের বদলে করিডোরে বাজি পোড়াতে ব্যস্ত চিকিৎসক ও নার্স। শেষপর্যন্ত চিকিৎসায় ‘গাফিলতি’র জেরে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সরকারি হাসপাতালের এমন ছবি ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে কর্তৃপক্ষ। চাপের মুখে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স ও ইন্টার্নদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন।
বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বুন্দেলখণ্ড মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বছর ২৬-এর ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সন্তানের জন্ম দিতেই ওই হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন তিনি। ২৬ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সুস্থ সন্তানের জন্মও দেন তিনি। মহিলার স্বামীর অভিযোগ, প্রসবের পর তাঁর স্ত্রীকে কয়েকটি ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। অভিযোগ দায়ের হওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার রবীন্দ্র মিশ্র।
[আরও পড়ুন: ‘এটা হিন্দু এলাকা, জামা মসজিদ নয়’, দিওয়ালির রাতে বিরিয়ানি বিক্রেতাকে হুমকি ‘হিন্দুত্ববাদী’দের]
এদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, নিজের ওয়ার্ডে যখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন মহিলা। সেই সময় হাসপাতাল করিডোরে বাজি পোড়াতে ব্যস্ত ছিলেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্সকে শোকজ করা হয়। অভিযুক্তদের ইন্টার্নদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বুন্দেলখণ্ড হাসপাতালের মুখপাত্র ড. উমেশ প্যাটেল জানান, অভিযুক্ত নার্সকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে চিকিৎসককেও। হাসপাতালের পাঁচ ইন্টার্নকে সতর্ক করা হয়েছে। এমনকী, তাঁদের অপারেশন থিয়েটার এবং মহিলাদের বিভাগ থেকে পাঁচজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। হাসপাতালের ভিডিও ফুজেজ খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের গাফিলতিতে মহিলার প্রাণহানির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্য প্রশাসকদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় চাপে পড়েছে মধ্যপ্রদেশের সরকারও।