সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই…”, কবিগুরুর এই লাইনের কথা মধ্যপ্রদেশের বাসন্তী বাঈয়ের জানার কথা নয়। তবে তিনি চেয়ে বসেছেন হেলিকপ্টার কেনার ঋণ। তাও আবার ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ram Nath Kovind) কাছে। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন। মধ্যপ্রদেশের বরখেদা গ্রামের বাসিন্দা বাসন্তী বাঈয়ের হেলিকপ্টার চাই। হেলিকপ্টার কেনার ঋণ চেয়ে যে চিঠি তিনি রাষ্ট্রপতিকে (President of India) লিখেছেন তা সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
কিন্তু কেন মহিলার এই অদ্ভূত আবেদন? জানা গিয়েছে, গ্রামে কিছুটা চাষের জমি রয়েছে বাসন্তীদেবীর। তাতে ফসল ফলিয়ে কোনওমতে সংসার চলে। কিন্তু বেশ কয়েকবছর ধরে চাষ করতে পারছেন না তিনি। অভিযোগ, প্রতিবেশীর জমিতে থাকা রাস্তার উপর দিয়ে বাসন্তীদেবীকে তাঁর জমিতে যেতে হয়। কিন্তু প্রতিবেশী রাস্তা আটকে রাখায় নিজের জমিতে যেতে পারছেন না তিনি। অনুনয়-বিনয় করেও লাভ হয়নি।
[আরও পড়ুন: নাতনির পাশে দাঁড়াতে বাড়ি বিক্রি অটোচালকের, এখন অটোই বাসস্থান]
পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাসন্তীদেবী। তাতেও সুরাহা হয়নি। স্থানীয় থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন বাসন্তী বাঈ। সেখান থেকেও নিরাশ হতে হয় তাঁকে। শেষে তিনি ঠিক করেন রাষ্টপতির কাছে সাহায্য চাইবেন। এক টাইপিস্টের সাহায্য নিয়ে রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি লেখেন মধ্যপ্রদেশের মহিলা। সে চিঠি রাষ্ট্রপতির কাছে না পৌঁছালেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমেও খবরটি ছড়িয়ে পরে। এরপরই স্থানীয় বিধায়ক যশপাল সিং (Yashpal Singh) ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি জানান, মহিলার অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে অবশ্যই তিনি সুবিচার পাবেন। নিজে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান যশপাল সিং। প্রয়োজনে প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। যাতে হেলিকপ্টার না পেলেও নিজের জমিতে যাওয়ার অধিকার বাসন্তী বাঈ পান।