ধীমান রায়, কাটোয়া: মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় ৮১ শতাংশেরও বেশি নম্বর ছিল। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় সেই ছাত্রী পেয়েছে মাত্র ৪১৩ নম্বর। আশানুরূপ ফল না হওয়ায় হতাশায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী কাটোয়ার পাঁচঘড়া এলাকার এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘর থেকেই পৌলমী ঘোষ (১৬) নামে ওই ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানি উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়া পৌলমী। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় সে। তার বাবা পুষ্পেন ঘোষ ব্যবসায়ী। মা মৌসুমীদেবী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। দুই বোনের মধ্যে বড় পৌলমী। ছোট বোন অমৃতা (৬) প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রী। সকালে মৌসুমীদেবী জগদানন্দপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজে চলে গিয়েছিলেন। পুষ্পেনবাবুর বাড়ির নিচেই দোকান। জানান, তাঁর ছোট মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিল পৌলমী। পুষ্পেনবাবু ঘরে এসে দেখতে পান সিলিংয়ে ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলছে তাঁর মেয়ে।
[আরও পড়ুন: নুসরত জাহানের বুকে লেখা কার নাম? বোতাম খোলা শার্টের ফাঁক থেকেই দিল উঁকি, খেলেন খোঁটাও!]
চিৎকার করে লোকজন ডাকেন। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই অবশ্য তার মৃত্যু হয়। পুষ্পেনবাবু বলেন, "আমার মেয়ে টেষ্ট পরীক্ষায় ৫৭০ নম্বর পেয়েছিল। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর দেখে তার প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ৪১৩। ফল দেখে খুব কান্নাকাটি করছিল। ওকে বোঝালাম রিভিউ করা হবে। নম্বর বাড়তেই পারে। কিন্তু এমন অঘটন ঘটিয়ে দেবে ভাবতেই পারিনি।"