সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশায় সে এক বাস কন্ডাক্টর। পড়াশোনা স্নাতকোত্তর পর্যন্ত। সঙ্গে বিএডও করা আছে। কে জানত এমনই এক মানুষের ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে ঘৃণ্য ধর্ষক! বিভিন্ন বয়সি মহিলাদের সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করে (Rape) সেই দৃশ্যের ভিডিও বিক্রি করেই লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করেছিল সে। অবশেষে পুলিশের জালে অভিযুক্ত।
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বাসিন্দা ৩২ বছরের মিলিন্দ জারের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত দু’জন মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছে। তাঁদের একজনের বয়স ১৮। অন্যজনের ৩০। গত জুলাই থেকেই ফেরার ছিল অভিযুক্ত। অবশেষে বৃহস্পতিবার এক সূত্র থেকে খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করার ছক কষে পুলিশ। শেষপর্যন্ত পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দেয় সে। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশের জেরার মুখে অভিযুক্ত মিলিন্দ জারে স্বীকার করেছে, ২০১৯ সালের জুন থেকে নভেম্বরের মধ্যে সে ৫ লক্ষ টাকা রোজগার করেছে ওই ধর্ষণের ভিডিওগুলি বিক্রি করে। তার কাছ থেকে ৬২টি ক্লিপ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সবগুলিই ইতিমধ্যে একটি পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিয়েছিল সে। দেখা গিয়েছে, ভিডিওগুলিতে সচেতন ভাবে নিজেকে কখনও প্রকাশ্যে আনেনি মিলিন্দ। কিন্তু মহিলাটির উপরে যাতে ক্যামেরার ফোকাস পুরোপুরি থাকে সেদিকেই আগাগোড়া লক্ষ্য থাকত থানে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কন্ডাক্টর যুবকটির।
[আরও পড়ুন: ‘পুলওয়ামা হামলায় যখন সবাই শোকার্ত, তখনও রাজনীতি করেছিল’, বিরোধীদের কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর]
দুই অভিযোগকারিণীর অন্যতম ৩০ বছরের মহিলাটির এক আত্মীয় প্রথম তাঁর নজরে আনেন বিষয়টি। তখনই ওই মহিলা জানতে পারেন, তাঁর একটি ভিডিও কীভাবে আপলোড হয়ে গিয়েছে পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটে। তাঁর অভিযোগের সূত্র ধরেই পুলিশ পৌঁছয় দ্বিতীয়জনের কাছে। ১৮ বছরের সেই তরুণীও শিউরে ওঠেন নিজের ভিডিও ওই সাইটে দেখে। দ্রুত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, যৌন মিলনের দৃশ্য লুকিয়ে ক্যামেরাবন্দি করে বিক্রি করার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। কয়েক দিন আগে মধ্যপ্রদেশের এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সে তার দুই স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ‘লাইভ’ সম্প্রচার করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করত। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে যুবকের কাছ থেকে নগদ ১২ লক্ষ টাকা এবং ফোন উদ্ধার করে।