সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমাদের আওয়াজে বাসুকি নড়ে উঠুক- সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতায় ছিল এ আহ্বান। নাহ পেটো চমকানোর মতো ঘটনা অবশ্য ঘটেনি। তবে কৃষকদের সম্মিলিত শক্তি এক হলে আজও যে প্রশাসন মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য হয়, তার প্রমাণ মিলল। কৃষকদের হাতে ধরা লাল নিশান আর জনসমুদ্রের সামনে নতিস্বীকার করল ফড়ণবিস সরকার। মেনে নেওয়া হল সমস্ত দাবি-দাওয়া।
অভুতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান। দীর্ঘদিনের দাবি যেন রূপ নিয়েছিল মহামিছিলে। গত কয়েকদিন ধরে এই সংগঠিত শক্তির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দেখেছে গোটা দেশ। ঋণমকুব থেকে শুরু করে প্রায় কয়েক দফা দাবিতে শুরু হয়েছিল এই মিছিল। তবে তার প্রেক্ষাপটটা আজকের নয়। দীর্ঘদিনের দাবি ও বিচ্ছিন্ন আন্দোলনেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। যেটুকু সাহায্য মিলেছিল তাও যৎসামান্য। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটেছে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা। তবু তেমন কোনও উদ্যোগ সরকারের তরফে নেওয়া হয়নি, যার জেরে কৃষকরা ভরসা পেতে পারেন। বাজেটে বহু ঘোষণা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু কৃষকদের অভিযোগ, প্রতিশ্রুতিই সার। সমস্যার সুরাহা হচ্ছে না। মহারাষ্ট্র থেকে তামিলনাড়ু, একই ছবি। এই প্রেক্ষিতেই সংগঠিত হন কৃষকরা। মারাঠাভূমে হয় কৃষকদের গণ অভ্যুত্থান। সমর্থন জানায় মধ্যবিত্তরাও। অবশেষে সে আন্দোলনে সার্থকতা। কৃষকদের সব দাবি মেনে নিল মহারাষ্ট্র সরকার।
[ কৃষকদের পাশেই মধ্যবিত্ত, মিছিলে খাবার-জল এগিয়ে দিচ্ছেন মুম্বইকররা ]
অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভার ডাকা এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় পঞ্চাশ হাজার কৃষক। সম্মিলিত এই প্রতিবাদের সামনে মাথা নত প্রশাসনের। কৃষকদের আন্দোলেনর জেরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল ফড়ণবিস সরকার। সোমবার কৃষকদের প্রতিনিধি দল প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে। সেখানে সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া হয়। লিখিত প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় বলে জানান মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাটিল।
তবে পাঁচ দিনের এই পরিক্রমার এখানেই শেষ নয়। যে স্বপ্ন, প্রতিবাদের যে পথ দেখিয়েছেন কৃষকরা তা আরও বৃহত্তর ও সংগঠিত আন্দোলনের পথে নিয়ে যাওয়ারই ভাবনা দেশের বিভিন্ন প্রদেশের কৃষক নেতাদের।
[ পথ দেখাচ্ছে মহারাষ্ট্র, দিকে দিকে আন্দোলনের প্রস্তুতি কৃষক নেতাদের ]
The post আন্দোলনের জয়, কৃষকদের সব দাবি মেনে নিল মহারাষ্ট্র সরকার appeared first on Sangbad Pratidin.