সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অথবা সেই অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না সংবাদমাধ্যম। এই দাবি নিয়েই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সেই মামলার শুনানিতে মহুয়ার আর্জি খারিজ করে দিলেন বিচারপতি।
টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে। বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘন করেছেন তিনি, এমনই অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের তদন্তভার পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইতিমধ্যেই বার দুয়েক মহুয়াকে এ বিষয়ে তলবও করেছে ইডি। যদিও তৃণমূলনেত্রী তাতে সাড়া দেননি। এবার মহুয়ার অভিযোগ, এই তদন্ত প্রক্রিয়ার অনেক গোপন তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে সংবাদমাধ্যমে। তদন্ত চলাকালীন যা কাম্য নয়। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
[আরও পড়ুন: ‘দূরবীন দিয়ে খুঁজলেও…’, ফের কংগ্রেসের জোট প্রস্তাব ‘নাকচ’ তৃণমূলের]
উল্লেখ্য, তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর, অসত্য এবং গোপন রিপোর্ট প্রকাশ্যে চলে আসছে। যা তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। পাশাপাশি এতে মহুয়ার সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে সম্মানহানিরও আশঙ্কা রয়েছে। ইডি এবং মোট ১৯টি সংবাদমাধ্যম যাতে কোনওরকম গোপন তথ্য প্রকাশ না করে, সেই দাবিতেই উচ্চ আদালতে যান মহুয়া। তবে বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ মহুয়াকে জানান, যেহেতু মহুয়া জনসমক্ষে পরিচিত মুখ, তাই তাঁকে নিয়ে যা প্রকাশিত হবে, সেটাই খবর।
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ ছিলেন মহুয়া মৈত্র। জনপ্রতিনিধি হিসেবে রাজনীতির আঙিনায় তাঁর যথেষ্ট পরিচিতি আছে। এহেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে খবরে যে কোনও বাধা নেই, কার্যত তেমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের।