রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: এগরা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের মৃত্যু। কটকের হাসপাতালে ভোর তিনটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম অবস্থায় দীর্ঘপথ বাইকে গিয়ে কটকের হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ভানু। তাঁর শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে খবর। এবার বিস্ফোরণের তদন্তে কী পদক্ষেপ করবে সিআইডি, সেটাই প্রশ্ন সব মহলে।
এগরা বিস্ফোরণের পর থেকেই মুখে মুখে ঘুরছিল একটাই নাম, ভানু বাগ। এলাকায় তাঁর দাপটের কথা শোনা গিয়েছিল খাদিকুল গ্রামের সকলের মুখেই। স্থানীয়রা দাবি করেছিলেন, এই বিস্ফোরণের দায় ভানু বাগেরই। কারণ, একাধিকবার বিপদ ঘটার পরও এই বেআইনি কারখানা বন্ধ করেননি অভিযুক্ত। এরপরই তাঁর খোঁজ শুরু হয়। বিস্ফোরণের বেশ কিছুক্ষণ পর প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, বিস্ফোরণে দগ্ধ অবস্থায় বাইকে আড়াইশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কটকে চলে গিয়েছিলেন ভানু। সেখানকার হাসপাতালে ভরতি হন। হাসপাতালে ভানু জানিয়েছিলেন, পারিবারিক অনুষ্ঠানে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
[আরও পড়ুন: হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে সফরের আমন্ত্রণে বৈষম্য! ডাক পেল BJP, ‘ব্রাত্য’ বিরোধীরা]
ভানুকর হদিশ পাওয়ার পর থেকেই জানা গিয়েছিল, তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটেই ভাল নয়। পুড়ে গিয়েছে শরীরের ৮০ শতাংশ। এরপরই শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ কটকের হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ভানুর। ফলে তদন্তের গতিপ্রকৃতি এবার কোন দিকে যাবে, সেটা দেখার। ভানুর মৃত্যুর খবর খাদিকুল গ্রামে পৌঁছতেই স্বস্তিতে গ্রামবাসীদের একাংশ। কারণ, যাঁরা ভানুর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তাঁদের তাড়া করছিল একটাই আতঙ্ক, ভানু যদি গ্রামে ফেরে তাহলে কী হবে। মৃত্যুর খবরে তাঁরা আতঙ্কমুক্ত।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে বারবার দাবি করা হয়েছিল, ভানুর বিরুদ্ধে যে মামলায় ধারা করা হয়েছে, তা একেবারেই সাধারণ। বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। পরবর্তীতে সিআইডি মামলায় নতুন ধারা যোগ করে। বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছিল ভানুর বিরুদ্ধে।