সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার (Purulia) দম্পতি খুনের রহস্যভেদ। গ্রেপ্তার পুরুলিয়ার ওয়েস্ট লেক রোডের অভিজাত আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী। পুলিশের দাবি, ধৃত জেরায় স্বীকার করেছে জোড়া খুনের কথা।
পুরুলিয়ার ওয়েস্ট লেক রোডের বাসিন্দা ছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি ক্ষীরোদসিন্ধু রায় ও কৃষ্ণা রায়। ৬ আগস্ট খুন (Murder) হন তাঁরা। খবর পাওয়ামাত্র দেহ উদ্ধার করে তদন্তে নামে পুলিশ। আবাসনের ১৮ টি ক্যামেরার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়, এই জোড়া খুনের নেপথ্যে রয়েছে নিরাপত্তারক্ষী। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত জিতেন্দ্র পালকে। রবিবার তাকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান। পুলিশি হেফাজতে ধৃতকে জেরা করে খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র, দড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পুনঃনির্মাণ করানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মদ্যপানের নিরিখে দেশে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা, জানেন, রাজ্যের কত মানুষ সুরা পান করেন?]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম জিতেন্দ্র পাল ওরফে বাপ্পা। তার বাড়ি পুরুলিয়া শহরের কেতকার বিবিবাড়ি এলাকায়। ওই রক্ষী দীর্ঘদিন ধরেই ওই আবাসনে কাজ করছেন। বর্তমানে তার মাসিক বেতন ৬,২০০ টাকা। ৫১ বছর বয়সী ওই রক্ষী ক্যারাটের ব্ল্যাক বেল্ট। নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে মাসের শেষে ওই বেতনে সংসার ঠিক মতো চলত না। তাছাড়া তার লটারি টিকিট ও জুয়া খেলার নেশা ছিল। নিয়মিত মদ্যপানও করত। এইসব কারণেই জিতেন্দ্রকে চড়া সুদে ৩০ হাজার টাকা ধার নিতে হয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা দিতে না পারায় সুদের কারবারিদের কাছ থেকে চাপ আসছিল। সেই কারণেই ‘সফট টার্গেট’ হিসেবে ওই বৃদ্ধ দম্পতির ফ্ল্যাটে চুরির ছক কষে সেl তাঁর পরিকল্পনা ছিল বৃদ্ধ দম্পতির ফ্ল্যাট থেকে টাকা চুরি করে সে ঋণ পরিশোধ করে দিতে পারবে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।