সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ১৮ দিনের মাথায় রাজু ঝা খুনে প্রথম গ্রেপ্তারি। পুলিশের জালে মূলচক্রী অভিজিৎ মণ্ডল। মঙ্গলবার গভীর রাতে কাঁকসা থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শক্তিগড় থানার পুলিশ। ধৃতকে জেরা করলেই বাকি অভিযুক্তদের হদিশ মিলবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।
গত ১ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে দুষ্কৃতীরা গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় রাজু ঝাকে। নীল গাড়িতে চেপে এসে কাজ সেরে আবার ওই গাড়িতেই চম্পট দেয় শার্প শুটাররা। ঘটনাস্থলে একটি নীল রঙের বাইকেরও অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাতে শার্প শুটারদের সঙ্গে থাকা একজনকে চেপে পালাতে দেখা গিয়েছে। পরে ওই নীল চারচাকা গাড়িটি শক্তিগড় থানার অদূরে উদ্ধার করা হয়। এই নীল গাড়িটিকে ঘটনার ভোরে পশ্চিম বর্ধমানের ডুবুরডিহি চেক পোস্ট দিয়ে ঝাড়খণ্ড-বিহারের দিকে যেতে ও ওইদিন দুপুরে আবার ফিরে আসতে দেখা যায়। কিন্তু গাড়ির হদিশ পাওয়া গেলেও রহস্যের শিকড়ে পৌঁছতে পারছিলেন না তদন্তকারীরা। কারণ, ওই নীল গাড়িটি দিল্লি থেকে চুরি করা হয়েছিল বলেই জানতে পারে সিট।
[আরও পড়ুন: ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে খুন! ৩ দিন পর মিলল দেহ, ঘনাচ্ছে রহস্য]
তদন্তে নেমে ১৮ দিনের মাথায় অবশেষে মূলচক্রীর সন্ধান পেল পুলিশ। জানা গিয়েছে, শক্তিগড় থানার পুলিশ কাঁকসা থানার সহযোগিতায় কাঁকসা গোপালপুর এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করে অভিজিৎকে। যদিও অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। জানা গিয়েছে, বুধবারই আদালতে তোলা হবে ধৃতকে। পুলিশের অনুমান, ধৃতকে জেরা করলেই রাজু ঝা হত্যা রহস্যের কিনারা করা সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, অভিজিতের আসল বাড়ি বাঁকুড়ায়। রানিগঞ্জের মাফিয়া নারায়ণ গেরফার গাড়ি চালাত অভিজিৎ। দীর্ঘদিন ধরে রাজুর সঙ্গে বালি ও কয়লা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল নারায়ণের। ফলে সেই কারণেও এই খুন হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।