সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্বের জন্য ‘হুমকি’। ভারতের জন্য ‘অফার’। ইউক্রেন (Ukraine) ইস্যুতে এবার এই নয়া নীতি নিয়ে চলা শুরু করল রাশিয়া। শনিবার ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ (Denis Alipov) হুমকির সুরে জানিয়েছেন, “ইউক্রেন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপালে তার ফল গোটা বিশ্বকেই ভুগতে হবে।” পরক্ষণেই তাঁর বক্তব্য, ভারতের কাছে এটাই সুযোগ। পাশ্চাত্যের দেশগুলি যখন আমাদের সাহায্য করছে না, তখন আপনারা এগিয়ে আসুন। এটা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য একটা দারুন সম্ভাবনা খুলে দিতে পারে।
বস্তুত, এখনও পর্যন্ত কোনও আন্তর্জাতিক ফোরামে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি ভারত। নিরপেক্ষ অবস্থানের নামে ঘুরিয়ে রাশিয়ার পাশেই দাঁড়িয়েছে মোদি (Narendra Modi) সরকার। তার সুফলও যে মেলেনি সেটা বলা যাবে না। ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে সাহায্য করছে রাশিয়া। এদিনও সাংবাদিক বৈঠকে আলিপভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের ফেরাতে রাশিয়া (Russia) কয়েকশো বাস প্রস্তুত করে রেখেছে। সমস্যা হল, যেসব এলাকায় ভারতীয়রা আটকে সেসব এলাকা এখনও আমাদের দখলে আসেনি। ভারতীয় দূতাবাস থেকে কূটনৈতিকদের একটি দলকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বেলগ্রোডে। সেখানেই ভারতীয়দের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ‘মমতার ক্ষতি করতে চেয়েছিল বিজেপি’, বারাণসীর বিক্ষোভ নিয়ে কমিশনে অভিযোগ সপার]
এদিন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন, ভারত যদি এই কঠিন সময় রাশিয়ার পাশে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে দু’দেশের মধ্যে আর্থিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়বে। তাঁর সাফ কথা,”এই পরিস্থিতির সুবিধা নেওয়াটাই ভারতের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। পাশ্চাত্যের দেশগুলি আমাদের সহযোগিতা করছে না। এটা ভারতের ব্যবসায়ীদের কাছে বিরাট সুযোগ। এখন সহযোগিতা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।” পরক্ষণে অবশ্য প্রচ্ছন্ন হুমকিও রয়েছে। ডেনিস আলিপভ সাফ জানিয়েছেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া পরিস্থিতির পর এর প্রভাব গোটা বিশ্বের উপরই পড়বে। ভারত-রাশিয়া সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়বে। তবে কতটা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে লেনদেন এবং আর্থিক আদানপ্রদানের উপর প্রভাব পড়তেই পারে।”
[আরও পড়ুন: ফের নৃশংসতার সাক্ষী যোগী রাজ্য, ৭১ বছরের অধ্যক্ষের যৌন লালসার শিকার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী]
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন (Ukraine) থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের ফেরানোর ক্ষেত্রেও এদিন বড়সড় সাফল্য দাবি করেছে সেদেশের ভারতীয় দূতাবাস। দূতাবাসের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেদেশর সুমি (Sumy) এবং আর দু’একটি শহর ছাড়া অধিকাংশ শহরই ভারতীয় শূন্য। যদিও সুমিতে ভারতীয়রা নিজেদের দুর্দশার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন। এদেরও যাতে দ্রুত উদ্ধার করা যায়, সেটা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন আরও একটি জরুরি বৈঠকে বসেছেন।