অরূপ বসাক, মালবাজার: দলের রাজ্য সভাপতি আসবেন। তাঁর বাড়িতেই সারবেন মধ্যাহ্নভোজ। নাওয়া খাওয়ার সময় ছিল না মালবাজারের গৃহবধূ সান্ত্বনা দাসের। তিনি এবার এলাকার বিজেপি নেত্রীও (BJP Leader)। সমস্ত কিছু সামলেই সকাল থেকে রান্নার কাজে লেগে পড়েছিলেন। নিজের হাতেই তৈরি করেছিলেন নিরামিষ পঞ্চব্যঞ্জন। বাড়ির সামনের গলিতে বিছানো হয়েছিল লাল কার্পেট। বেলা বাড়তেই আসতে শুরু করেছিলেন পাড়া-প্রতিবেশীরাও। পঞ্চপ্রদীপ জ্বালিয়ে তৈরি ছিলেন মেয়েরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) একবার চোখের দেখা দেখবেন। এই ছিল তাঁদের আশা। এ যাত্রায় সেই আশা পূরণ হল না। অন্য জায়গায় কর্মসূচি ছিল দিলীপবাবুর। সেখানেই চলে গিয়েছেন। যাবতীয় আয়োজন বিফলে গেল। আনন্দের প্রস্তুতি এক খবরে নিরাশার প্রতিচ্ছবি হয়ে গেল।
শুক্রবার ডুয়ার্সের মালবাজার শহরে দিলীপ ঘোষের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। সেই অনুযায়ী রোড শো করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পূর্ব ঘোষিত রোড শো থাকায় শহরে ছিল সাজো সাজো রব। দলীয় কর্মীরা শহরের রাস্তা দোকান পতাকা, ফ্লেক্স ও ফেস্টুন দিয়ে সাজিয়ে তুলেছিলেন। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ছিল তৎপরতা। রোড শোয়ের শেষে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নেতাজি কলোনির দলীয় নেত্রী তথা গৃহবধূ সান্ত্বনা দাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারার কথা থিল দিলীপ ঘোষের। সান্ত্বনাদেবী দলের দীর্ঘদিনের কর্মী। গত পৌর নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে দলের প্রার্থীও ছিলেন। এহেন সান্ত্বনাদেবী রাজ্য সভাপতির আগমন বার্তা পেয়ে যথেষ্ট তৈরিই হয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা হবে’, দলের নেতার হুমকিতে বিতর্ক]
দুপুর সোয়া দুটো নাগাদ দলের মাল বিধানসভা কেন্দ্রের সংযোজক মঙ্গল উরাও জানান, দিলীপবাবুর অন্যত্র জরুরি কর্মসূচির ব্যস্ততা থাকায় তিনি বেরিয়ে গেছেন। কথা যখন ছিল ভবিষ্যতে সময় পেলে নিশ্চয় উনি আসবেন। এই খবর জানাজানি হতে অনেকের মুখে খানিক হতাশার ছবি ফুটে ওঠে। প্রাথমিকভাবে নিরাশ হলেও সান্ত্বনাদেবী বলেন, “উনি রাজ্য সভাপতি। সর্বত্র ওনার কর্মসূচি রয়েছে। নির্বাচনে উনি ব্যস্ত। হয়তো অন্যত্র জরুরি কর্মসূচি থাকায় বেরিয়ে গেছেন। উনি আসবেন শুনে আমি তৈরি হয়ে ছিলাম। নিরামিষ রান্না হয়েছিল। অনেকেই ওনাকে দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিল। উনি না আসায় খানিকটা নিরাশ হয়েছি। তবে আশা আছে ভবিষ্যতে উনি সময় পেলে অবশ্যই আসবেন।”