shono
Advertisement

গদি হারাতে পারেন ‘চিনপন্থী’ মুইজ্জু, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্টের পথে বিরোধীরা

খুব শীঘ্রই তা পার্লামেন্টে পেশ হওয়ার কথা রয়েছে।
Posted: 06:45 PM Jan 29, 2024Updated: 06:45 PM Jan 29, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বিরোধিতার জের! মালদ্বীপের ‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে এবার ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে চলেছে প্রধান বিরোধীদল মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি। খুব শীঘ্রই তা পার্লামেন্টে পেশ হওয়ার কথা রয়েছে বলে খবর। ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে পড়েছেন মুইজ্জু।

Advertisement

রবিবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মালদ্বীপের পার্লামেন্ট। মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির সাংসদদের সঙ্গে শাসকদল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস ও শরিক প্রগেসিভ পার্টি অফ মালদ্বীপের এমপিদের তুমুল হাতাহাতি হয়। চুল ধরে টানা, সপাটে ঘুসি, মাটিতে ফেলে পা ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া- কিছুই বাদ যায়নি। এই বেনজির ঘটনার পরই মুইজ্জুর সরকারের বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেয় এমডিপি। ইম্পিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটি অনাস্থা প্রস্তাব আনবে তারা। এর জন্য যতগুলো স্বাক্ষরের প্রয়োজন ইতিমধ্যে সব স্বাক্ষর জোগাড় করে ফেলেছে বিরোধী দল। শীঘ্রই পার্লামেন্টে পেশ করা হবে প্রস্তাব। ফলে গদি খোয়াতে পারেন মুইজ্জু।  

[আরও পড়ুন: চার মাসের যুদ্ধে প্রথমবার, রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিদের উত্তর গাজায় যাওয়ার অনুমতি ইজরায়েলের]

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই মালদ্বীপের পার্লামেন্টে তুমুল মতবিরোধ চলছে। ‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর আমলে যেভাবে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে, সেই নিয়ে সরব বিরোধীরা। এহেন পরিস্থিতিতে রবিবার গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল দ্বীপরাষ্ট্রটির সংসদে। মুইজ্জু সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা নিশ্চিত করতে এদিন ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, সংসদ ভবনে গণ্ডগোল পাকায় শাসকদলের এমপিরাই। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় সাংসদদের এই হাতাহাতির ভিডিও। 

বলে রাখা ভালো, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষদ্বীপ সফরের পরেই মালদ্বীপ-ভারত সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। এর মাঝখানেই চিন সফরে গিয়েছিলেন মুইজ্জু। কূটনৈতিক টানাপোড়েনের এই আবহে চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজের মালদ্বীপে আগমনে আরও অবনতি ঘটতে পারে দুই দেশের সম্পর্কে। এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি-সহ সমমনা দলগুলো। এই পদক্ষেপ যে আদতে দেশের জন্যই ক্ষতিকর তা নিয়ে সরব হন বিরোধী নেতারা। এই পরিস্থিতিতে ঘরেই ক্রমশ চাপ বাড়ছে চিনপন্থী প্রেসিডেন্টের। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement