সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ৪ মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার ভারত সফরে এলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। রবিবার বিকেলে দিল্লি বিমানবন্দরে নামল মইজ্জুর বিমান। ৪ দিনের এই ভারত সফরে এবার সঙ্গে নিয়ে এলেন স্ত্রীকেও। জানা যাচ্ছে, এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদে বসেই 'ভারত বিরোধী' পথে হাঁটা মুইজ্জুর এই সফর কূটনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর থেকে তাল কাটে দিল্লি-মালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের। সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। মোদিকে নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেন যুব, তথ্য ও শিল্প মন্ত্রকের দুই মন্ত্রী মালশা শরীফ এবং মরিয়ম শিউনা-সহ আর এক মন্ত্রী আবদুল্লাহ মাহজুম মজিদ। গোটা ভারত জুড়ে শুরু হয় ‘বয়কট মালদ্বীপ’। এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়তে থাকে মালদ্বীপের উপরে। শুধু তাই নয়, মাঝে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে নেওয়ার জন্যও বলেছিল সে দেশের সরকার। সব মিলিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে যথেষ্ট ফাটল তৈরি হয়।
তবে ভারত বিরোধী মনোভাবে যে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারার পর তা বেশ বুঝতে পারেন মহম্মদ মুইজ্জু। এই অবস্থায় কূটনৈতিক মহলের অনুমান, দিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্ব পুনরায় মজবুত করতে উদ্যোগী তিনি। ৪ মাস আসে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতে এসেছিলেন মুইজ্জু। সম্প্রতি ভারতে এসে ফের ভারতীয়দের মালদ্বীপ ভ্রমণের আবেদন জানান সেখানকার পর্যটনমন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়জল। পাশাপাশি জানা যায়, মোদিকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন যে দুই মন্ত্রী তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। সব মিলিয়ে স্পষ্ট হচ্ছিল, পিঠে চিনপন্থী দাগ থাকলেও ভারতকে চটাতে একেবারেই নারাজ মহম্মদ মুইজ্জু।
এ সবকিছুর মাঝেই রবিবার ভারতে এলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানা যাচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক স্তরে দুই দেশের স্বার্থ জড়িত রয়েছে এমন একাধিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মালদ্বীপ ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন প্রতিবেশী। এবং প্রতিবেশীকে অগ্রাধিকারের নীতির কথাও তুলে ধরা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে।