সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্যে বসে তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করছেন অধীর চৌধুরী। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি পর্যন্ত জানিয়ে ফেলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অথচ তাঁর দলেরই সর্বভারতীয় সভাপতির মুখে শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের সুর। সরাসরি সন্দেশখালি ইস্যুর উল্লেখ না করলেও মল্লিকার্জুন খাড়গে বলছেন, বিজেপি খোলাখুলি ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করছে।
শুক্রবার সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে ইডি (ED)আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় নিন্দার ঝড় সব মহলে। রাজ্যপাল, বিচারপতি সকলেরই মত, এই ঘটনা অপ্রত্যাশিত এবং চূড়ান্ত নিন্দনীয়। যদিও তৃণমূল এর নেপথ্যে প্ররোচনার তত্ত্ব দিচ্ছে। শাসকদলের বক্তব্য, লাগাতার যেভাবে ইডির অপব্যবহার হচ্ছে। যে ভাবে পরিকল্পনা করে শাসকদলের নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে, অথচ বিজেপি নেতাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে তাতে হয়তো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। সেটারই বহিঃপ্রকাশ এই ক্ষোভ।
[আরও পড়ুন: বয়স ভাঁড়িয়ে খেলছে ১২ বছরের বৈভব? বিহারের ক্রিকেটারকে নিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে]
সেই সুরে সুর মিলিয়ে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে এদিন বললেন,”মোদি সরকার খোলাখুলি ইডি ও সিবিআইয়ের অপব্যবহার করছে। কখনও কংগ্রেস নেতাদের ধরা হচ্ছে। কখনও তৃণমূল নেতাদের ধরা হচ্ছে। কখনও আবার টিডিপি নেতাদের ধরা হচ্ছে। সবাইকে কলঙ্কিত বলে দেওয়া হচ্ছে।” কংগ্রেস সভাপতির সংযোজন,”আমাদের নেতাদের ধরলে তাঁরা কলঙ্কিত হচ্ছেন। অথচ সেই নেতাই বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁর সব কলঙ্ক মিটে যাচ্ছে। ওদের কাছে সবচেয়ে বড় ওয়াশিং মেশিন আছে।”
[আরও পড়ুন: ‘ওঁরা খুব সাহসী’, সন্দেশখালিতে আহত ED অফিসারদের হাসপাতালে দেখতে গেলেন রাজ্যপাল]
বস্তুত, কংগ্রেস সভাপতির সুর প্রায় অবিকল তৃণমূলের মতোই। সরাসরি সন্দেশখালির উল্লেখ না করলেও ঘুরপথে ওই ইস্যুতে তৃণমূলের পাশেই দাঁড়ালেন তিনি। অথচ, এ রাজ্যে বসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তৃণমূলকেই আক্রমণ করে চলেছেন। যদিও এআইসিসির (AICC) তরফে কেসি বেণুগোপাল (KC Vanugopal) এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “অধীরের রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিকে সমর্থন করে না কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব। ওটা প্রদেশ কংগ্রেসের মতো। সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি সেটাকে সমর্থন করে না।”