সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান হিংসার (Galwan Clash) পর ভারত সরকারের নীরবতার জেরেই অরুণাচলে নয়া সংকট। চিন ইস্যুতে কেন্দ্রের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। খোদ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বক্তব্য, ভারত সরকার সঠিক সময়ে চিনকে যোগ্য জবাব দিতে পারেনি বলেই আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) বেশ কিছু অঞ্চলের চিনা নাম প্রকাশ করেছে বেজিং (Bejing)। তৃতীয় দফার এই নামরকণে ১১টি অঞ্চলের নাম মান্দারিন, তিব্বতি এবং পিনইন অক্ষরে প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগেও দুই দফায় অরুণাচলের একাধিক জায়গার চিনা নামকরণ করেছিল বেজিং। যা নিয়ে সরব কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে গোরক্ষক বাহিনীর হাতে মুসলিম ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড: ধৃতের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ্যে]
এক টুইটে তিনি বলেন, চিন এই নিয়ে তৃতীয়বার অরুণাচলে আমাদের এলাকার নাম বদলানোর দুঃসাহস দেখাল। এর আগে প্রথম দফায় ২০১৭ সালে ৬টি জায়গার এবং ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় ১৫টি স্থানের নাম ঘোষণা করে চিন। আর ২০২৩ সালের ৩ এপ্রিল ১১টি জায়গার নাম ঘোষণা করা হল। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অভিন্ন অঙ্গ আছে আর থাকবেও। কিন্তু গালওয়ানের পর মোদিজি চিনকে যেভাবে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন, আজ দেশকে তারই ফল ভোগ করতে হচ্ছে। কংগ্রেস সুরে কেন্দ্রকে নিশানা করেছে অন্য বিরোধী দলগুলিও।
[আরও পড়ুন: নৃশংস, ডিজে’র মিউজিক বন্ধ করতে বলায় অন্তঃসত্ত্বাকে গুলি প্রতিবেশীর! নষ্ট ভ্রূণ]
ভারত সরকার অবশ্য ইতিমধ্যেই চিনের একপাক্ষিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। বিদেশমন্ত্রকের টুইটে বলা হয়েছে, “অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা গোটা বিষয়ে অবগত। চিন আগেও এই কাজ করেছে। এমন পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করছি। এভাবে বাস্তব বদলানো যাবে না।” যদিও স্রেফ বিদেশমন্ত্রকের এই বিবৃতিতে সন্তুষ্ট নয় বিরোধীরা। কড়া পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।