shono
Advertisement

১০০দিনের কাজে মিটেছে পরিযায়ীদের সমস্যা, কর্মসংস্থান নিয়ে বড় দাবি মমতার

পুরুলিয়ায় 'মাটির সৃষ্টি' প্রকল্পের সাফল্যকে সামনে রেখে কাজে আরও জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Posted: 03:37 PM Nov 05, 2020Updated: 07:14 PM Nov 05, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৮ মাস ধরে মারণ করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সঙ্গে যুদ্ধ করছে গোটা বিশ্ব। এমন সংকটজনক পরিস্থিতিতে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে যৌথভাবে মোকাবিলা করছেন সকলেই। কিন্তু এমন বিপদের সময়েও দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি রাজ্যের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তেমন সহযোগিতা মিলছে না। পশ্চিমবঙ্গ তার মধ্যে অন্যতম। বরাবরের মতো কোভিড পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতেও বাংলার দিকে কেন্দ্র সেভাবে হাত বাড়াচ্ছে না বলে অভিযোগে আবারও সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেসব ছাড়াই বাংলা যেমন কোভিডযুদ্ধে এগিয়ে, তেমনই লকডাউনে কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Labourers) কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বাংলায় অভূতপূর্ব সাফল্য মিলেছে বলে বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে দাবি করলেন তিনি।

Advertisement

লকডাউনের জন্য ভিনরাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে বাংলায় ফেরা শ্রমিকদের নিয়ে গোড়া থেকেই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীরই পরামর্শ ছিল, রাজ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনওভাবে সরকারি প্রকল্পগুলিতে কাজ দেওয়া হোক। তাহলে তাঁদের জীবিকা নিয়ে চিন্তা মিটবে। এবং এ ব্যাপারে ১০০দিনের কাজ-সহ একাধিক প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগানোর ব্যাপারে অগ্রাধিকারের নির্দেশ দেন তিনি। পুরুলিয়া জেলাই এ ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে গত মে মাসে জেলায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। গত ৫ মাসেই তাঁদের হাতে জমিতে ফলেছে রকমারি সবজি, জমি থেকে তা সরকারি বিপণীগুলিতেও পৌঁছে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘মহামারী আইন ভাঙছে একটি রাজনৈতিক দল’, নাম না করে বিজেপিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর]

বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে সেই সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন  মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের কাজের প্রশংসাও করেন তিনি। তাঁর দাবি, এই কাজে আরও জোর দেওয়া হোক। তাঁর দাবি, ৫ লক্ষ ৪৪ হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে কাজ দেওয়া হয়েছে। সাড়ে ৩ লক্ষের বেশি শ্রমিক নতুন করে জব কার্ড পেয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যেই কর্মসংস্থানের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। কিন্তু বাংলা তার মাঝেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকারের নানা অসংগঠিত ক্ষেত্রে আগামী ৩ বছরে ৩৫ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করার লক্ষ্য রয়েছে। 

প্রাথমিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা ছিল, কাজ হারিয়ে ভিনরাজ্য থেকে যাঁরা ফিরছেন, তাঁদের এখানেই এমনভাবে কর্মসংস্থান করে দিতে হয় যাতে আর তাঁরা বাইরের রাজ্যে কাজ করতে চলে না যান। সেইমতোই বিভিন্ন প্রকল্পের পরিযায়ীদের কাজে লাগানোর কাজ চলেছে। কিন্তু সর্বত্র পরিস্থিতি এতটা আশাপ্রদ নয়। বেশ কিছু জেলায় শ্রমিকরা যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি প্রকল্পে কাজ না পেয়ে ফের নিজেদের কাজের জায়গায় ফিরছেন। মাস দুয়েক ধরেই ফের ভিনরাজ্যমুখী হচ্ছেন তাঁরা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি যা-ই হোক, কাজের সংস্থান আরও পরিকল্পিতভাবে না করা হলে, পরিযায়ীদের এ রাজ্যে ধরে রাখা কিছুটা চ্যালেঞ্জের বইকি।

[আরও পড়ুন: পূর্ব বর্ধমানে অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া মেটাতে রোগীকে খুলে দিতে হল গয়না! চালককে শোকজ]

এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের লড়াইয়ে সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন। করোনা সংকটের গোড়া থেকেই এ রাজ্যে রোগীদের চিকিৎসা বিনামূল্যে হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিকাঠামোর আরও উন্নয়ন হয়েছে। এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্রের কোনও সাহায্য ছাড়াই বাংলা করোনাযুদ্ধে অনেকটা এগিয়ে। এখানে সুস্থতার হার ৮৮.৮ শতাংশ। তাঁর দাবি, করোনা রোগী শনাক্তকরণে RT-PCR টেস্ট এ রাজ্যে হচ্ছে, যা অন্য অনেক রাজ্যেই হয় না। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার