স্টাফ রিপোর্টার, ঝাড়গ্রাম: মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সামনে পেয়ে গ্রামবাসীরা পানীয় জলের আরজি জানিয়েছিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার আগেই পানীয় জল পেলেন দু’টি গ্রামের বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার বেলপাহাড়ির সাহারি থেকে সভা সেরে ঝাড়গ্রাম ফেরার পথে বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। ওইদিন শিলদা অঞ্চলের কুড়চিবনি এবং কাঁকো অঞ্চলের মালাবতীর বিশ্বাস পাড়া গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন। তখনই তিনি গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা হবে। এরপরই বুধবার বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে দু’টি গ্রামে যান। এলাকা পরিদর্শন করেন। তারপরই দু’টি গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়। এমন উদ্যোগে খুশি বাসিন্দারা।
[আরও পড়ুন: গরুপাচারের টাকা কোথায়? লেনদেনের হদিশ জানতে আসানসোল জেলে অনুব্রতকে জেরা ED’র]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুড়চিবনি গ্রামে ১৯৮০ সালের একটি পুরনো পাম্প ছিল। তবে বর্তমানে সেই পাম্পের ক্ষমতা কমে গিয়েছিল। ফলে পর্যাপ্ত পানীয় জল পাচ্ছিলেন না গ্রামবাসীরা। সেই পাম্পের ক্ষমতাই বাড়িয়ে ৬টি নতুন কল চালু করা হয়। আর একটি কল বৃহস্পতিবারের মধ্যে চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, মালাবতী গ্রামে এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন পানীয় জলের পাম্প বসে যাবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের কথায়, ওই এলাকা অত্যন্ত পাথুরে। ফলে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প বসাতে হবে। যার জন্য একটু সময় লাগবে। তবে এই গ্রামে এদিন থেকেই অস্থায়ীভাবে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা বলেন, ‘‘মালাবতী গ্রামে একটি সাব-মার্সিবল পাম্প বসানো হবে। তার মাধ্যমে পানীয় জল পাবেন গ্রামবাসীরা। এদিন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে ওই দু’টি গ্রামে গিয়েছিলাম।’’ এদিকে, গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ।
অন্যদিকে, কাঁকো গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য রাজীব মুর্মু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী গ্রামবাসীদের কথা দিয়েছিলেন গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা হবে। সেই মতো এদিন বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে গ্রাম দেখে গিয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই স্থায়ীভাবে পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’’ এই বিষয়ে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, ‘‘কুড়চিবনি গ্রামে পাম্পটি সারিয়ে ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ৭টি কলের মধ্যে ৬টি কল চালু হয়েছে। আর একটি কল বৃহস্পতিবারের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। আর মালাবতীর বিশ্বাসপাড়া যেহেতু পাথুরে এলাকা তাই সেখানে সাতদিনের মধ্যে নতুন পাম্প বসিয়ে স্থায়ী পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। তবে বুধবার থেকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে।’’