স্টাফ রিপোর্টার: ইডেনে (Eden Gardens) ভারত-নিউজিল্যান্ড টি২০ ম্যাচে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দু’বছর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফিরতে চলেছে ইডেনে। অন্য সময় হলে আরও জাঁকজমকভাবে ম্যাচটা করত সিএবি। বিশেষ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা হত। কিন্তু এবার সেসব সম্ভব নয়। তবে, সিএবি সূত্রের খবর, ইডেনে রবিবাসরীয় ম্যাচে উপস্থিত থাকার জন্য চলতি সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে যাবেন সিএবি (CAB) কর্তারা।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলে প্রত্যেকবার সিএবি কর্তাদের ব্যস্ততা যেরকম থাকে, এবারও ঠিক একইরকম আছে। হয়তো কিছুটা বেশি। কারণ করোনা আবহে এত নিয়ম মেনে এই প্রথম ম্যাচ করতে চলেছে সিএবি। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া (Abhishek Dalmiya) বলছিলেন, “কোনও অনুষ্ঠান এবার করা যাবে না। ক্রিকেটার, ম্যাচ অফিসিয়াল ছাড়া, কারও মাঠে প্রবেশের অনুমতি নেই।” এমনকী শোনা গেল, মাঠে এবার পুলিশও রাখা যাবে না। অন্য সময় হলে হয়তো ভারত কিংবা নিউজিল্যান্ডের কোনও ক্রিকেটারকে দিয়ে ইডেন বেল বাজিয়ে ম্যাচ শুরু হত। এবার সেটাও সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে বিশেষ চমক, ইডেনের সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে শ্রীভূমির ‘বুর্জ খালিফা’!]
আসলে এবার কোভিডের জন্য হাজার একটা নির্দেশিকা রয়েছে। প্রত্যেকটা দিন তাতে নতুন কিছু জুড়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকবারের মতো টিম বাস আর ক্লাব হাউসের সামনে এসে দাঁড়াবে না। ইডেনের মেন গেট দিয়ে ক্রিকেটাররা মাঠে প্রবেশও করবেন না। এবার ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ হচ্ছে। শোনা গেল, মোহনবাগান মাঠের সামনে একটা জোন করে দেওয়া হব, সেখানেই টিম বাস দাঁড়াবে। বাইরে কারও সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ। সতেরো নম্বর গেটে দুটো টিমের জন্য আলাদা একটা প্রবেশপথ তৈরি হচ্ছে। সেখান দিয়েই স্টেডিয়ামে যাবেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), কেন উইলিয়ামসনরা। আর মাঠে প্রবেশের সময় দর্শকদের মাস্ক আর স্যানিটাইজার দেওয়া হবে।
সিএবি কর্তারা এখনও জানেন না, ম্যাচের পর কোনও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আদৌ হবে কি না। যেহেতু ইডেনে সিরিজের শেষ ম্যাচ, তাই ম্যাচের পর কীভাবে বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হবে, সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। প্রথা অনুযায়ী, প্রত্যেক আন্তর্জাতিক ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সিএবি কর্তাদের ডাকা হয়। এবার যেহতেু বায়ো-বাবল থাকছে, তাই কর্তারা সেই অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে পুরোপুরি ধোঁয়াশা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় দলের কোচিংকে বিদায় জানিয়েই নয়া দায়িত্ব নিলেন রবি শাস্ত্রী]
তবে কর্তারা সবচেয়ে বেশি চিন্তায় পড়েছেন ক্লাব হাউসের টিকিট নিয়ে। কীভাবে তা ম্যানেজ করা হবে, সেটা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। যেহেতু এবার সত্তর শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাই ক্লাব হাউসের টিকিট ৩২০০ থেকে কমে প্রায় দু’হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। কর্তারা হিসাব করে দেখেছেন, বিসিসিআই (BCCI), সিএবির অনুমোদিত সব সংস্থা, বিভিন্ন এজেন্সিকেই দু’হাজার টিকিট দিয়ে দিতে হবে। তারপর আর ক্লাব হাউসের কোনও টিকিট থাকবে না। যার ফলে রবিবারের ম্যাচে ক্লাব হাউসের টিকিট নিয়ে হাহাকার পড়বে, সেটা বলে দেওয়াই যায়।