সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় বিএসএফের ভূমিকা খতিয়ে দেখার ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যে রাধিকাপুরে বিজেপি (BJP) কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের মৃত্যু হয়েছে, সেই গ্রামে বিএসএফের প্রভাব কতটা? জানতে তদন্ত প্রয়োজন বলে জানালেন মমতা। একই সঙ্গে কালিয়াগঞ্জ, কালিয়াচকের মতো হিংসার ঘটনার নেপথ্যে দিল্লির বড়সড় ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার মালদহ-মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করেন,”কালিয়াগঞ্জ, কালিয়াচক, গাজোলের মতো জায়গায় ইচ্ছা করে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে। দিল্লি থেকে আসা ২০-২৫ জনের মিটিং হয়েছে। ওরা বলছে জাতিগত দাঙ্গা লাগাও। শুধু হিন্দু-মুসলমান না। জাতিগত দাঙ্গা লাগাও। কোনও কোনও মুসলিমকে টাকাও দিচ্ছে। কেউ দাঙ্গা চায় না। কিছু দজ্জাল রাজনৈতিক নেতা দাঙ্গা চায়।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যের পর্যবেক্ষক থাকাকালীন ধর্ষণের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র]
এরপরই কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় ঘুরিয়ে বিএসএফকে কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন তোলেন, “গুলিটা কে চালালো? আমি তো শুনেছি বিএসএফ (BSF) নাকি ওই গ্রামটা নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশের কাছে কোনও খবর আছে? এটার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। বিএসএফ তো এখন ৫০ কিলোমিটারের ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। অনেকে নাকি মারাও গিয়েছে। গুলিটা কে চালাল? কোথায় থেকে চলল? এটার তদন্ত হওয়া দরকার আছে।” মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে এক জেলা আধিকারিক জানান, ওই রাধিকাপুর গ্রামটা সীমান্ত এলাকার। তাতে আরও রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। ওই আধিকারিককে তিরস্কারের সুরে বলেন, “তার মানে তোমাদের কাছে যে তথ্য নেই, সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে। তোমাকে কেউ গালি দিচ্ছে, আর তুমি চুপ করে শুনছ। আমি তোমাকে গুলি চালাতে বলছি না। কিন্তু তোমার কাছে আইন আছে, সেটাই অনেক।”
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, নদীতে ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার কপ্টার]
তবে এদিন আরও একবার কালিয়াগঞ্জের নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, “এখন কিন্তু সে যুগ নেই যে একটা ঘটনা ঘটার চার ঘণ্টা পর পুলিশ যাবে। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে যেতে হবে। অপেক্ষা করার কোনও জায়গা নেই। কালিয়াগঞ্জের ঘটনাটায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মানুষকে জানাতে এত সময় লাগল কেন? সঙ্গে সঙ্গে কী ঘটেছে জানিয়ে দিলে মিডিয়া ট্রায়াল করতে পারে না? কালিয়াগঞ্জে প্রথমে কনস্টেবলকে পাঠিয়েছ কেন? কেনে আইসি যায়নি? আইসি বসেছিল কেন? আইসি (IC) গিয়ে সসম্মানে দেহটা আনতে পারত। দরকার হলে সাদা কাপড় রাখতে হবে। পুলিশকে মারছে, বিডিও অফিস ভাঙচুর করছে, এত সাহস হয় কী করে? মনে রাখবেন পুলিশের গায়ে উর্দি আছে।”