সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'বিজেপির মুখোশ খুলতে হলে মহুয়াকে জেতাতে হবে।' লোকসভা ভোটের প্রথম প্রচার থেকেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী 'রাজমাতা' অমৃতা রায়ের পারিবারিক ইতিহাস তুলে প্রধানমন্ত্রীকেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না তিনি। মহুয়া মৈত্রকে পাশে নিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগলেন মমতা।
ভোটের দামামা বাজিয়ে রবিবার থেকে প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম জনসভার জন্য তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেছে নিয়েছিলেন নদিয়ার ধুবুলিয়া। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে প্রচার শুরু করলেন তিনি। মহুয়াকে কেন লোকসভা থেকে 'তাড়িয়েছে' বিজেপি, সেই ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী 'রাজমাতা' অমৃতা রায়ের পরিবারকে 'বিশ্বাসঘাতক' বলে খোঁচা দিলেন মমতা।
[আরও পডুন: ‘কুরুক্ষেত্র’ বারাকপুর, পার্থ-অর্জুনের ‘মহাভারতে’ শেষ হাসি কার? ফ্যাক্টর হবে বামেরা?]
তৃণমূল নেত্রীর কথায়, "লোকসভায় মহুয়া জোরে জোরে কথা বলত। বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হত বলে মহুয়াকে টার্গেট করেছে। ভোটে দাঁড়ানোর পর ওর বাবা-মাকেও ছাড়ছে না।" সভা শেষে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, "ওদের মুখোশ খুলতে হলে মহুয়াকে আবার জেতাতে হবে।" শুধু যে মহুয়ার সমর্থনে বার্তা দিয়েছেন তা নয়, তাঁর বিপক্ষে থাকা বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কেও নিশানা করেন মমতা।
পলাশির যুদ্ধে কৃষ্ণনগরের তৎকালীন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় ব্রিটিশদের অর্থাৎ লর্ড ক্লাইভের পক্ষ নিয়েছিলেন বলে ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে। সেই কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিঁধলেন মমতা। মোদির উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, "উনি কি দেশের ইতিহাস ভুলে গিয়েছেন?" পারিবারিক ইতিহাস তুলে লোকসভায় বিজেপির কৃষ্ণনগরের প্রার্থী অমৃতা রায়কেও বেঁধেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, "রাজমাতা আবার কী! এখন আমরা সবাই প্রজা। প্রজার ভূমিকা পালন করুন। আর রাজা হলে রাজপ্রাসাদে থাকবেন। মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না।"