সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন হচ্ছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এই কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান,” দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন পদে বসাতে তৃণমূলের সংসদীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাশ করেছে।” মমতার এই পদে বসার অর্থ, দলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদরা কোন রণনীতিতে কাজ করবেন, তা এবার থেকে ঠিক করবেন দলনেত্রী নিজেই। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, নতুন করে জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখলেন মমতা। একুশে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার যে তৃণমূলের লক্ষ্য দিল্লি, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল ঘাসফুল শিবিরের এই পদক্ষেপে।
এমনিতে, সাংসদ না হওয়া সত্ত্বেও কোনও দলের সংসদীয় কমিটির প্রধান নির্বাচিত হওয়াটা বিরল। কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে তা আরও বিরল। একজন মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে দিল্লিতে গিয়ে সংসদীয় রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করাটা কঠিনও বটে। কিন্তু TMC সুপ্রিমো সেই কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে পিছপা হলেন না। আসলে, এখন মমতার একটাই লক্ষ্য, যেনতেন প্রকারে দিল্লির মসনদ থেকে নরেন্দ্র মোদিকে উৎখাত করা। আর সেটা করতে হলে, তাঁকে যে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুতপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে, সেটাও ভালই জানেন তৃণমূলনেত্রী। সম্ভবত, সেকারণেই নতুন করে সংসদীয় রাজনীতিতে পা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মমতার সফরের আগেই দিল্লিতে অমিত শাহর দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী]
এই মুহূর্তে সংসদে (Parliament) তৃণমূলের হাতে ইস্যু অনেক। সরকারের একাধিক ‘জনবিরোধী’ নীতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, পেগাসাস (Pegasus), করোনা, কৃষি আইন। কোন ইস্যু নিয়ে সংসদের ভিতরে সরকারকে কীভাবে কোণঠাসা করা হবে, নিজেদের অবস্থান কীভাবে জনমানসে তুলে ধরা হবে, সে বিষয়ে মমতার থেকে ভাল পথপ্রদর্শক তৃণমূল সাংসদদের জন্য আর কেউ হতে পারে না। উল্লেখ্য, আগামী দিন তিনেকের মধ্যে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। সংসদে গিয়ে বহু বিরোধী নেতার সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ায় এবার সংসদে তাঁর প্রবেশও অবাধ হয়ে যাবে।