দীপঙ্কর মণ্ডল: বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে রাজ্যে প্রত্যাবর্তন হয়েছে তৃণমূলের। কবে হবে নতুন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। উঠছিল প্রশ্ন।সোমবার বিকেলে তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানিয়ে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানালেন, নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শপথ নিতে পারেন ৫ মে। অন্যান্য বিধায়করা ৬ মে শপথ নিতে পারেন।
এদিন বিকেলে তৃণমূল ভবনে আসেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক সারেন তিনি। সেই বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভার পরিষদীয় দলের দলনেত্রী নির্বাচিত করে জয়ী বিধায়করা। এদিনের বৈঠকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘প্রোটেম স্পিকার’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তাঁকেই বিধানসভার অধ্যক্ষ পদে বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৬ মে ‘প্রোটেম স্পিকার’ হিসাবে বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন বিমানবাবু। তাঁর হাতে দায়িত্ব তুলে দেবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন : ‘২৪ ঘণ্টায় ৫ বিজেপি কর্মীর মৃত্যু’, ভোটের ফলের পর পরিসংখ্যান দিয়ে অভিযোগ দিলীপের]
এদিন জয়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বেশকিছুক্ষণ বৈঠক করেন মমতা। সেই বৈঠকে নিজের নিজের বিধানসভার মানুষের জন্য ভালভাবে কাজ করা এবং মানুষের সমস্যা যথাযথভাবে মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের প্রত্যেক নির্বাচিত প্রতিনিধি। ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর।
রাজ্যে বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। তাঁদের দখলে ২১৩টি আসন। তবে নন্দীগ্রাম আসন থেকে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন প্রশ্ন হল, ভোটে পরাজিত হলে কি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় কোনও বাধা থাকে? এই প্রশ্নের জবাবে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “যে কোনও প্রতিনিধি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে পারেন। তবে ছয় মাস পরেও তিনি কাজ চালিয়ে গেলে তাকে রাজ্যের কোনও একটি কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হয়।” এদিন তিনি কার্যত বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতার শপথগ্রহণে কোনও বাধা থাকল না। এদিন সন্ধেয় রাজভবন যাচ্ছেন মমতা।