সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের পর মোদি সরকারের বিরোধিতা করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দিল্লিতে পা রেখে কেজরির বাড়িতে উপস্থিত হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অরবিন্দের স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়ালের পাশাপাশি তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মমতা। তাঁদের সহমর্মিতা জানানোর পাশাপাশি পাশে থাকার বার্তা দেন। সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এসেছে সেই সাক্ষাতের ভিডিও।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই ও ইডি দুই তদন্তকারী সংস্থার তরফে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। ইডির মামলায় জামিন পেলেও সিবিআই মামলায় এখনও তিহারবন্দী মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে অত্যন্ত অল্প সময়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর। এবং সেই সফরে কেজরির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর বাড়িতে সফর রাজনৈতিক দিক থেকে তো বটেই ব্যক্তিগতভাবে তিনি যে কেজরির পাশে রয়েছেন সেই বার্তা দিতেই এই সফর। এদিক কেজরির বাড়িতে গিয়ে সকলের খোঁজ খবর নেন মমতা। দীর্ঘক্ষণ আলাদাভাবে কথা বলেন সুনীতার সঙ্গে। সুনীতার পাশাপাশি কেজরিওয়ালের বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন বাংলার নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে। উপস্থিত ছিলেন আপ নেতা রাঘব চাড্ডাও।
[আরও পড়ুন: ‘একত্রে সিদ্ধান্ত নিলে অন্য কিছু ভাবতাম’, নীতি আয়োগের বৈঠকের আগে বার্তা মমতার]
ইন্ডিয়া জোটের শরিক হিসেবে তো বটেই ব্যক্তিগতভাবেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে আপের তিক্ততা কাটানোয় অন্যতম কারিগর ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এই পর ইডির তরফে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির ঘটনায় সর্বপ্রথম ফুঁসে উঠতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'এটা গণতন্ত্রের ওপর নির্মম আঘাত'। কেন্দ্রীয় এজেন্সির ‘অপব্যবহার’ করে বিরোধী দলগুলোর কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
কেজরির বাড়িতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আপ নেতা রাঘব চাড্ডা।
[আরও পড়ুন: বাজেটের ‘দুঃস্বপ্ন’ কাটিয়ে ছন্দে ফিরল বাজার, ১৩০০ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স]
কেজরির গ্রেপ্তারির পর এবার দিল্লি সফরে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি কেজরির স্ত্রীকে সহমর্মিতা জানানোর পাশাপাশি পাশে থাকার বার্তা দিলেন মমতা। একইসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের দাবি, কেজরির গ্রেপ্তারির পর কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক আপের থেকে দুরত্ব বজায় রাখার নীতি নিয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে জাতীয় রাজনীতির আঙিনায় অতীতের কংগ্রেস ও বিজেপির বাইরে গিয়ে তৃতীয় ফ্রন্টের সলতে জিইয়ে রাখছেন মমতা। যদিও এই সফরকে নিছক সৌজন্য হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক মহল।