কৃষ্ণকুমার দাস ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বর্ষা (Rain) বিদায় নিলেও নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জলযন্ত্রণা থেকে রেহাই নেই রাজ্যবাসীর। রবিবার রাত থেকে সোমবারের দিনভর টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহর কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ। এবার সেই জমা জলই বাধা হয়ে দাঁড়াল মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারসভায়। ভবানীপুর উপনির্বাচন সামনেই। তার জন্য এই সপ্তাহে টানা প্রচার কর্মসূচি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার একবালপুরে ৭৭ নং ওয়ার্ডে তাঁর জনসংযোগের কথা ছিল। কিন্তু এখনও এলাকা যেভাবে জলবন্দি, তাতে প্রচার কার্যত অসম্ভব। তাই ঝুঁকি না নিয়ে বাতিল করা হল কর্মসূচি। তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবারও একই জায়গায় সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভবানীপুরে (Bhabanipur)’ঘরের মেয়ে’র প্রচারে লাগাতার কাজ করছেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। চেনা মাটি, জয় নিশ্চিত। তবু উপনির্বাচনের (By-election) আগে প্রচারে খামতি রাখতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো। আসলে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার তো শুধু স্রেফ ভোট চাওয়াই নয়, বহুদিনের চেনা মানুষজনের সঙ্গে আলাপচারিতাও। এই জনসংযোগই মুখ্য। তাই প্রায় প্রতিদিনই ভবানীপুর বিধানসভা এলাকায় মমতাকে কোনও না কোনওভাবে মানুষের কাছাকাছি দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেলে একবালপুরের সুধীর ঘোষ রোডে তাঁর প্রচার কর্মসূচি ছিল। কিন্তু তাতে বাদ সাধছে বৃষ্টির জল।
[আরও পড়ুন: ‘দিলীপদার থেকে লড়াই শিখেছি’, নতুন দায়িত্ব পেয়ে প্রাক্তনীর প্রশংসা সুকান্ত মজুমদারের]
মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য এদিন সকাল থেকে তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম নিজে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এখনও প্রায় ২ ফুট মতো জল জমে রয়েছে। ফিরহাদ হাকিমকে দেখা গেল, নিজের ট্রাউজার গুটিয়ে জলে নেমেছেন। জমা জল সরাতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন পুরসভার কর্মীদের। পাম্প চালিয়ে দ্রুত জল সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়। কিন্তু তাতেও বিশেষ কাজ হয়নি। দুপুর ২টো পর্যন্ত পরিস্থিতি এমনই যে সেখানে সভা করা কার্যত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। তাই এদিন মমতার একবালপুরের সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ঠিক হয়েছে, বুধবার একই সময়ে একই জায়গায় সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তিনি যাবেন চেতলার সভায়।