সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের পর বিধানসভা উপনির্বাচন। বঙ্গে ফের ঘাসফুল ঝড়! উপনির্বাচনে চার ৪ তৃণমূলের। শনিবার ফলপ্রকাশের পরই মুম্বই থেকে কলকাতায় ফিরেছেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর দমদম বিমানবন্দরে নেমেই ফলাফল নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন তিনি। জয়ের উচ্ছ্বাস পরিমিত রেখেই সংক্ষেপে বললেন, ''এই জয় মা-মাটি-মানুষের জয়। জয় রাজ্যবাসীকে উৎসর্গ করলাম। চারটের চারটেতেই আমরা জিতেছি।'' তবে এই ফলাফলের আলাদা রাজনৈতিক গুরুত্বের কথাও বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষত চারটির মধ্যে তিনটি আসনই বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। কোথায় কে কোন ফ্যাক্টরে জিতলেন, তা ব্যাখ্যা করেন দলনেত্রী।
মুম্বইতে আম্বানিপুত্রের রাজকীয় বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেল চারটের একটু পর তিনি কলকাতায় ফিরেছেন। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই উপনির্বাচনের (WB By-Elections) ফলাফলের জন্য দলের জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানালেন। বললেন, ''যে আসন অর্থাৎ মানিকতলা আমাদের ছিল, আমাদেরই আছে। কিন্তু বাকি তিনটি আসনে গত বিধানসভা আর লোকসভা- দুটোতেই বিজেপি জিতেছিল। সেই আসনগুলোও আমরা জিতেছি।''
[আরও পড়ুন: ‘আম্বানি নাইট’ মিস করলেন বলিউডের একঝাঁক তারকা, জানেন কারা?]
তাঁর ব্যাখ্যা, ''রায়গঞ্জে (Raiganj) কৃষ্ণ কল্যাণী ছিল বিজেপির বিধায়ক। ও আমাদের দলে যোগ দেওয়ার পর লোকসভায় দাঁড় করিয়েছিলাম। ও জিতেই যেত। কিন্তু লোকসভা ভোটে ওখানে বিজেপি, কংগ্রেস ষড়যন্ত্র করে ওকে হারিয়েছে। আমি তখনই বলেছিলাম, তুমি দাঁড়াও, তোমায় জিততে হবে। তো উপনির্বাচনে ও দাঁড়িয়ে জিতেও গেল। এদিকে, মুকুটমণিও তাই। আমাদের দলে আসার পর লোকসভায় কোনও কারণে হেরেছিল। আবার সুযোগ পেয়ে জিতে গিয়েছে। আর বাগদায় আমরা সবচেয়ে কমবয়সি মধুপর্ণাকে, মমতাবালা ঠাকুরের মেয়েকে দাঁড় করিয়েছিলাম। মধুপর্ণা খুব ভালো লড়াই করেছে। ওদের সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।''
[আরও পড়ুন: উপনির্বাচনেও ভরাডুবি, শূন্য পেয়ে সাংগঠনিক ব্যর্থতা স্বীকার বিজেপির]
এর পরই দলনেত্রী নবনির্বাচিত বিধায়কদের কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন। বলেন, ''আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়ল। মানুষের কাজ আরও বেশি করে করতে হবে। মনে রাখবেন, আমরা মানুষের জন্যই আছি। তাঁদের কাজের জন্য আমরা নির্বাচিত হই। তাই কাজ না করে অন্য কিছু করলে চলবে না। আর এই জয় আমরা আগামী ২১ জুলাই, শহিদ দিবসে (Shahid Diwas) তাঁদের প্রতি উৎসর্গ করব, যাঁরা সেদিন সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবিতে আন্দোলনে নেমে প্রাণ দিয়েছিলেন।''