সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবং ও দক্ষিণ কাঁথিতে বিজেপির ভোট বৃদ্ধিতে কি শঙ্কিত তৃণমূল? রাজ্যের হিন্দুরা কি আস্থা হারাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর উপর থেকে। ইমাম ভাতা বা সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ চালু করে মমতা কি রাজ্যের হিন্দুদের মন হারিয়েছেন? তাই কি এবার হিন্দু আবেগ উসকে দিতে আসরে নামছে তৃণমূল?
[দেদার মাদক ও দেহ ব্যবসা চলবে না, বর্ষবরণে সংঘ পরিবারের ফতোয়া]
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট কিন্তু এমনটাই দাবি করছে। তাদের যুক্তি, সেই কারণেই সম্ভবত গত ২৬ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগরের মেলায় কপিল মুনির আশ্রমের মুখ্য পুরোহিত জ্ঞানদাসজির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ঘণ্টাখানেক সময় কাটান। আগামী ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি। ওইদিন গঙ্গায় ডুব দেবেন লক্ষাধিক পুণ্যার্থী। গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রী বলে যান, ‘আমি আবার আসব।’ সংবাদমাধ্যমটির দাবি, মমতা নিজের গা থেকে ‘মুসলিম-ঘেঁষা’ তকমা ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। কাছে টানতে চাইছেন হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে। যে ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। সবং উপনির্বাচনে তৃণমূল ১, ০৬, ১৭৯টি ভোট পেয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ৩৭, ৪৭৬টি ভোট। অথচ ২০১৬-র নির্বাচনে বিজেপি এই কেন্দ্রে পেয়েছিল মাত্র ৫৬১০টি ভোট।
[ধর্মের নামে অশান্তি রুখতে পদক্ষেপ, কলকাতায় নিষিদ্ধ অস্ত্র মিছিল]
আসলে তৃণমূল বুঝতে পেরেছে যে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি যে ‘হিন্দুত্ববাদী’ দল, এই ধারণাটা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। এমনকী, তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও সুকৌশলে ‘হিন্দু’ তালিকাভুক্ত করা গিয়েছে। পালটা মমতাও উত্তরবঙ্গের রাজবংশীদের জন্য পৃথক ‘এসসি কাউন্সিল’ তৈরি করে ফেলেছেন। ইতিমধ্যেই তারাপীঠ, তারকেশ্বর, কালীঘাট– মন্দিরগুলির সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছেন। যা তিনি আগেই ফুরফুরা শরিফের জন্য করেছেন। সবমিলিয়ে হিন্দু আবেগকে নিজেদের দিকে টেনে আনতে তৃণমূল যে এবার রাজ্য জুড়ে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে নামছে, সে জল্পনা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
[এবার কলকাতা পাচ্ছে এসি লোকাল ট্রেন, শহরতলিতে বাতানুকূল যাত্রা]
The post সামনে পঞ্চায়েত ভোট, বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে ধস নামাতে নয়া কৌশল মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.