সন্দীপ চক্রবর্তী: উচ্চবর্গের জন্য সংরক্ষণ ঘোষণা করে আসলে সাধারণ মানুষ, বেকার যুবক এবং কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে কেন্দ্র। অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন থেকে বেরিয়ে মমতা বলেন, “যদি সত্যিই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণী সংরক্ষণ পায়, তাহলে আমি খুবই খুশি হব। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে এই সংরক্ষণ কীভাবে সম্ভব তা আগে কেন্দ্রকে পরিষ্কার করতে হবে।”
[ভোটের আগে নয়া চমক, উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ]
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “আসলে এই ঘোষণা করে সাধারণ মানুষ, বেকার যুবক, এবং কৃষকদের প্রতারণা করা হচ্ছে। গোটা দেশ বিপদের মধ্যে রয়েছে। আমাদের দেশে বেকার সমস্যা আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা যায় না। এটা বিপজ্জনক প্রবণতা।” এরপরই মমতা বলেন, “কেন্দ্রকে আগে পরিষ্কার করে বলতে হবে, এটা কীভাবে সম্ভব। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ দেওয়া সম্ভব নয়। তাহলে কেন এই ঘোষণা। এভাবে বেকারদের সঙ্গে প্রতারণার মানে কী? যদি, আইন মেনে সংরক্ষণ হয় তাহলে আমরা খুশিই হব, কিন্তু এভাবে প্রতারণা করা যায় না সাধারণ মানুষকে।”
[সাধারণের চাহিদা নাকি নির্বাচনী চমক, কেন সংরক্ষণ ঘোষণা করল মোদি সরকার?]
উল্লেখ্য সোমবারই, উচ্চবর্গ অর্থাৎ জেনারেল কাস্টের জন্য শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যাঁদের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার কম বা কৃষি জমির পরিমাণ ৫ একরের কম তাঁরা সুবিধার আওতায় পড়বেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হলে অবশ্য ভারতীয় সংবিধানের ১৫ এবং ১৬ নম্বর ধারা দু’টি সংশোধন করতে হবে। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও সরকারি ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ চালু করা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই ভারতে সব সরকারি চাকুরিক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত এসসি, এসটিদের জন্য। চলতি অধিবেশনে শেষ দিন মঙ্গলবার। অর্থাৎ, একদিনের মধ্যেই সংবিধানে সংশোধন করতে হবে কেন্দ্রকে। মুশকিল হল সংবিধান সংশোধনের জন্য যে পরিমাণ সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন তা বিজেপির হাতে নেই।
The post সংরক্ষণের নামে প্রতারণা হচ্ছে, কেন্দ্রের নয়া ঘোষণা নিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.