গোবিন্দ রায়: রক্ষকই ভক্ষক! আড়াই বছর ধরে নিজের মেয়ের উপর লাগাতার যৌন নির্যাতন চালাত জন্মদাতা বাবা-ই। শেষপর্যন্ত নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পাশবিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল বারুইপুর থানার পুলিশ।
১৫ বছরের মেয়ের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত তাপস চট্টোপাধ্যায়কে। টানা ৬ বছর বিচারপর্বে পর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আলিপুর পকসো আদালত। শুধুমাত্র হাজতবাসই নয়। একইসঙ্গে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ের ৬ মাসের হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক উমেশ সিং। পাশাপাশি, ওই নির্যাতিতা নাবালিকার ক্ষতিপূরণ হিসেবে রাজ্যের লিগ্যাল এইড সার্ভিসকে ছয় লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
[আরও পড়ুন: ব্যাংক দেউলিয়া হলে মিলবে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা, মোদির ঘোষণায় কেন উদ্বেগে মধ্যবিত্ত?]
আদালতের পর্যবেক্ষণ, বাবা-ই হল আশ্রয়স্থল। বট গাছ। সন্তানের কাছে তাঁর জায়গা কাছে সবসময়ই শীর্ষে। মা না থাকলে সন্তানের দায়দায়িত্ব বাবার উপরেই বর্তায়। সেই বাবার কাছ থেকে সন্তানের প্রতি এহেন ব্যবহার আশা করা যায় না।
মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মাধবী ঘোষ জানান, পরিবারে আর্থিক অভাব-অনটনের কারণে আয়ার কাজ করতেন নির্যাতিতার মা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজের নাবালিকা মেয়ের উপর আড়াই বছর ধরে যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল বাবা। এই ঘটনায় ২০১৫ সালের অগস্টে অভিযোগ দায়ের হয় তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মামলায় পেশ করা যাবতীয় মেডিক্যাল রিপোর্ট। ১১ জন সাক্ষীর ভিত্তিতে অভিযুক্ত বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।