সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রেমিকা এবং তাঁর শাশুড়িকে খুন। খুনের কারণও রক্ত দিয়ে লিখে আত্মঘাতী যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সাক্ষী ঢাকা (Dhaka) থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কাশতলা গ্রাম। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খুনে ব্যবহৃত ছুরি এবং হাতুড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে।
শনিবার একই বাড়ি থেকে বছর পঁয়ষট্টির জমেলা বেগম, তাঁর পুত্রবধূ সুমির দেহ উদ্ধার হয়। সেখান থেকেই মেলে কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া পূর্বপাড়ার বাসিন্দা শাহজালালের দেহও। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। একই জায়গা থেকে সুমির বছর পাঁচেকের ছেলে শাফিকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে পেশার স্বার্থে দেহ উদ্ধারের মতো ঘটনা কমপক্ষে পুলিশের কাছে নতুন নয়। তবে যে ঘর থেকে দেহ তিনটি উদ্ধার হয় সেই ঘরের দেওয়ালের দিকে নজর যেতে হতচকিত হয়ে যান তদন্তকারীরা। কারণ দেওয়ালে লেখা ছিল, “এমনটা হত না যদি আমার সুমি আমার কাছে থাকত। এসবের জন্য দায়ী সুমির বাবা।”
[আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে আপনার স্মার্টফোনে WhatsApp চলবে তো? জেনে নিন কীভাবে চেক করবেন]
একই বাড়ি থেকে তিনটি দেহ উদ্ধার এবং দেওয়ালে এই লেখা দেখার পর এলাকায় হইচই শুরু হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, সুমির স্বামী জয়েনউদ্দিন কর্মসূত্রে সৌদি আরবে থাকেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে শাহজালালের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুমির। তা মাত্র কয়েকদিনেই জানাজানি হয়ে যায়। তাতে বাধা দিতেন সুমির শাশুড়ি। জানতে পারার পর সুমির বাবাও বাধা দেন। তবে পরকীয়ার টানে বাড়ি ছেড়ে একবার চলেও গিয়েছিলেন সুমি। স্বামী সৌদি আরব থেকে ফেরার পর স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে আসেন। তারপর আবারও সৌদি আরবেই চলে যান তিনি। স্বামী দেশ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফের শাহজালালের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরকীয়া সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে শাহজালাল ওই মহিলা এবং তাঁর শাশুড়িকে খুন করেছেন। খুনের পরই আত্মঘাতী হয়েছেন শাহজালাল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছুরি ও হাতুড়ি উদ্ধার করেছে। ছুরি এবং হাতুড়ির সাহায্যে খুন করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।