অর্ণব আইচ: স্ত্রীর অশ্লীল ছবি ভাইরাল করেন প্রতিবেশী! তারই প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন স্বামী। অভিযোগ, প্রতিবাদ জানাতে গেলে বেধড়ক মারধর করা হয় ওই মহিলার স্বামীকে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ওই ব্যাক্তির। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত সেই প্রতিবেশী। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার ভূকৈলাস রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, দেড় বছর আগে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। ওই এলাকার বাসিন্দা রামশঙ্কর তিওয়ারি একদিন দেখেন, তাঁদেরই এক প্রতিবেশী বশিষ্ঠ সিং লুকিয়ে বাথরুমের কাছে ঘোরাঘুরি করছে। তখন তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী যখন বাথরুমে স্নান করেন, তখন বশিষ্ঠ লুকিয়ে বাইরে থেকে তাঁর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি তুলত। বশিষ্ঠ ও তাঁর পরিবারের লোকেরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান। বিষয়টি নিয়ে তখনই দুই পরিবারের মধ্যে বড় ধরনের গোলমাল হয়।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলাকারীরা ভারতের নাগরিক? প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
তবে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যস্থতায় গোলমাল থামে। বাসিন্দাদের চাপে বশিষ্ঠ তার মোবাইল থেকে ছবি ও ভিডিওগুলো মুছে ফেলে। এর পর থেকে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকে। এর মধ্যেই কয়েকদিন আগে রামশঙ্করের ছেলের মোবাইলে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও পাঠান তাঁরই এক পরিচিত। ভিডিওতে ওই তরুণ বাথরুমে তাঁরই মায়ের স্নানের দৃশ্য দেখতে পান। হতবাক হয়ে সে সেই ভিডিওটি তার বাবাকে দেখায়। রামশঙ্কর অভিযোগ তোলেন, ফের বশিষ্ঠ লুকিয়ে নিজের মোবাইলে তাঁর স্ত্রীর অশ্লীল ভিডিও তুলে তা এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ভাইরাল করেছে।
শুক্রবার রামশঙ্কর তাঁর ছেলেকে নিয়ে প্রতিবেশী বশিষ্ঠর বাড়িতে গিয়ে তাঁর এই কীর্তির প্রতিবাদ জানান। ভাইরাল হওয়া ছবিটি দেখিয়ে প্রশ্ন করলে প্রথমে সে অস্বীকার করে। পরে উদ্ধত হয়ে রামশঙ্করকে মারধর করতে শুরু করেন বশিষ্ঠ। রামশঙ্করের ছেলে বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের কারণে রামশঙ্করের বুক ও মাথায় চোট লাগে। অত্যন্ত অসুস্থ ও আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই রামশঙ্করের। হাসপাতালে পৌঁছলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে দক্ষিণ বন্দর থানায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক। তার সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।