অর্ণব দাস, বারাকপুর: দশ বছর পর জেলমুক্তি। আর সংশোধনাগার থেকে বেরিয়েই বন্ধুকে খুন! এমনই ঘটনা ঘটেছে বারাকপুরে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কেন এই হত্যাকাণ্ড? নেপথ্যে কি কোনও ষড়যন্ত্র না নিছক ক্ষণিকের উত্তেজনায় এই অপরাধ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোররাতে। বারাকপুরের পাইপ রোডে। মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জীব দাস ওরফে বিল্লু। অভিযুক্তের নাম জুম্মান। জানা গিয়েছে, জুম্মান ১০ বছর জেল খাটার পর মুক্তি পেয়ে সদ্য বাড়ি ফিরে আসেন। জেলে থাকলেও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে জুম্মানের বিরুদ্ধে।
এদিন, বাড়ি ফেরার পর বন্ধু সঞ্জীব দাসকে নিয়ে মদের আসর জমান জুম্মান। রাতভর তাঁরা সেখানেই ছিলেন। ভোররাতে কোনও কারণে জুম্মানের সঙ্গে সঞ্জীবের বচসা হয়। অভিযোগ, এরপরই লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন জুম্মান। সঞ্জীবকে গুরুতর যখন অবস্থায় বারাকপুর বি এন বসু হসপিটালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
[আরও পড়ুন: সন্তানদের খুনের হুমকি দিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ! অভিযুক্তকে গণধোলাই উত্তেজিত জনতার]
ইতিমধ্যে টিটাগড় থানার পুলিশ অভিযুক্ত জুম্মানকে গ্রেপ্তার করেছে। দশ বছর জেল খাটার পর বাইরে এসে কেনই বা বন্ধুকে খুন করলেন জুম্মান তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নেপথ্যে কি কোনও ষড়যন্ত্র না নিছক ক্ষণিকের উত্তেজনায় এই অপরাধ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এদিকে, নিহত সঞ্জীব দাসের পরিবারের অভিযোগ, সঞ্জীবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন জুম্মান। বারাকপুর চিড়িয়া মোড় এলাকায় একটি খাবারের দোকানে কাজ করতেন নিহত ব্যক্তি। তাঁর অতীতও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।