শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: শ্বশুরবাড়িতে ডেকে স্বামীকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে তেঘড়িতে এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীয়ের সঙ্গে অশান্তি বাঁধত নিত্যদিন। এবার সেই স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধেই বিষ খাওয়ার অভিযোগ উঠল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মহম্মদ রেজা(২৪)। রঘুনাথগঞ্জ থানার তেঘড়ির বাসিন্দা। মৃতের পরিবারের দাবি, তাঁকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বিষ খাইয়ে খুন করেছে। পৌনে দুবছর আগে মহম্মদ রেজার সঙ্গে স্থানীয় যুবতী সীমা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি ছমাসের কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে বনিবনা ছিল না। ফলে প্রায়শই দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। অভিযোগ, সীমা খাতুন অভিমানে কন্যাসন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়।
[আরও পড়ুন: ৩ রাজ্যে ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের সঙ্গে জোট হয়নি কেন? হারের ব্যাখ্যা চাইলেন রাহুল]
যদিও মৃত যুবকের পরিবারের দাবি, রবিবার সীমা খাতুন পরিকল্পনা করে ফোন করেন মহম্মদ রেজাকে। স্ত্রীর ফোন পেয়ে শ্বশুর বাড়ি যায় মহম্মদ। সেখানে তাঁকে মারধর করে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহম্মদ বাড়ি ফিরলে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত যুবকের নিকট আত্মীয়া রেহানা পারভিন জানান, “ওঁদের পৌনে দুবছর বিয়ে হয়েছে। বিয়ে পর থেকে ছেলেটা একদিনও শান্তি পেল না। সীমা পরিকল্পনা করে মহম্মদ রেজাকে ফোন করে ডেকে ওকে বিষ খাইয়ে খুন করেছে।”
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে রাহুল শেখ নামে এক যুবক ঘুমের ওষুধ খেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকেরা মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে নিতে আসলে আধার কার্ডে রাহুল শেখের নাম লেখা আছে মহম্মদ রেজা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাম বিভ্রাটের জন্য রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এ প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ সুপার আনন্দ রায় জানান, “মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।”