বিধান নস্কর, সল্টলেক: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিউটাউনে ট্রলি ব্যাগে মৃতদেহ রহস্যের কিনারা। পটাশপুর থেকে গ্রেপ্তার এক ব্যাঙ্ককর্মী। আটক করা হয়েছে আরও দুজনকে। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা, টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই বৃদ্ধকে খুন করা হয়। রবিবার ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হবে বলে খবর। নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে টেকনো সিটি থানার পুলিশ। তাঁকে জেরা করে খুনের আসল কারণ জানার চেষ্টা চলছে।
শনিবার সকালে নিউ টাউন কারিগরি ভবনের পিছনে খাল থেকে লাল ট্রলি ব্যাগবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এর পরেই তদন্তে নামে টেকনো সিটি থানার পুলিশ। জানা যায় মৃত ব্যক্তির নাম সুবোধ সরকার(৮০)। সোদপুরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। অন্য়দিকে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর এলাকায় নাকা চেকিং চলাকালীন শনিবার ভোররাতে একটি অ্যাপ ক্যাবে রক্ত লেগে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। এর পরেই সেই গাড়িটি আটক করা হয়। গাড়ির মধ্যে থাকা চালক-সহ তিন জনকে আটক করে। পুলিশ জানতে পারে তাঁরাই এই গাড়ি ভাড়া করে ট্রলি ব্যাগটি নিউটাউনে ফেলে পালাচ্ছিল। এর পর টেকনো সিটি থানার পুলিশ খবর পেয়ে পটাশপুর থেকে তিনজনকে আটক করে। মৃতদেহ ফেলতে যে গাড়িটিকে ব্যবহার করা হয়েছিল তাও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: কার হাতে প্রচারের রাশ? TMC প্রার্থীর সামনেই বিধায়ক-ব্লক সভাপতি অনুগামীদের ধুন্ধুমার]
ধৃতের নাম সৌম্যকান্তি জানা। পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা এলাকায়। পুলিশ এবং চালক-সহ দুজন অসীম হালদার ও উত্তম দে কে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যাঙ্কে যাতায়াতের সূত্রেই সৌম্যর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। সুবোধবাবুর কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা ধারও নিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা ফেরত চাইতেই এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ। খুনের পিছনে কারা-কারা জড়িত আছে তা খতিয়ে দেখছে টেকনো সিটি থানার পুলিশ।