shono
Advertisement

‘ভয় করি না ঈশ্বরকে’, পুলিশি জেরায় আজব সাফাই মূর্তি চোরের

বড়বাজারে মন্দিরে লুঠপাটের ঘটনায় একদিনের মধ্যে ধৃত অভিযুক্ত।
Posted: 09:42 AM Feb 03, 2022Updated: 09:42 AM Feb 03, 2022

অর্ণব আইচ: বাবার মৃত্যু হয়েছিল চার বছর বয়সে। মা ইহলোক ছেড়েছিলেন ন’বছর বয়সে। তখন থেকেই লোকটি অনাথ। “আমার ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস নেই। তাই মূর্তি চুরি করি।” মধ্য কলকাতার বড়বাজারের একটি মন্দির থেকে মূর্তি চুরির তদন্তে এক প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তারির পর জেরায় এই বক্তব্য শুনে হতবাক পুলিশ আধিকারিকরা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বড়বাজারের মহাত্মা গান্ধী রোডের একটি বাড়ির মন্দির থেকে গোপাল, গণেশ, শিব, হনুমানের মূর্তি ও ঠাকুরের মূল্যবান বাসন চুরি হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। খতিয়ে দেখে সিসিটিভি ফুটেজ। তাতেই ধরা পড়ে এক প্রৌঢ়ের ছবি। তদন্ত করে পুলিশ তাকে শনাক্ত করে।

[আরও পড়ুন: কোলের সন্তানকে নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর ছেড়েছে স্ত্রী! ফিরে পেতে ৩ মাস ধরে রোজ থানায় যাচ্ছেন স্বামী]

বুধবার মধ্য কলকাতার মুন্সিবাজার রোডের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত প্রৌঢ় কৃষ্ণকুমার মুন্দ্রা। পুলিশকে সে জানায় যে, যেহেতু ন’বছর বয়স থেকে সে অনাথ, তাই তার ঠাকুরের উপর বিশ্বাস সেই। সেই কারণেই সে মন্দির থেকে ঠাকুরের মূর্তি চুরি করে বেড়ায়। এর আগেও সে কলকাতার একাধিক মন্দির ও বাড়ি থেকে মূর্তি ও বাসন চুরি করেছে। তাকে জেরা করে পুলিশ গিরিশ পার্কের নন্দ মল্লিক লেনে তল্লাশি চালিয়ে দিলীপ হালদারকে গ্রেপ্তার করে।

তার কাছ থেকেই উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া মূর্তি ও বাসনগুলি। অ্যান্টিক চোরদের সঙ্গে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। এদিকে, এদিনই দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার শান্তিগড়ের এক বাসিন্দা তাঁর বাড়ি থেকে মূর্তি ও ঠাকুরের সোনা এবং রুপোর গয়না চুরি হয়েছে বলে রিজেন্ট পার্ক থানায় অভিযোগ জানান। ওই চুরির সঙ্গে বড়বাজারের অভিযুক্তর কোনও যেগাযোগ রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ২৭২৩, সামান্য বাড়ল মৃত্যু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement