জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিকের ঝুলন্ত দেহ! খুন না আত্মহত্যা, দ্বন্দ্বে পরিবার। ঘটনার তদন্তে গাইঘাটা থানার পুলিশ। অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম কমল সরকার (৪৫)। ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার অমলকান্দিয়া এলাকা। মঙ্গলবার সকালে প্রেমিকার বাড়ির পেয়ারা গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠিয়েছে।
[আরও পড়ুন: অনির্বাণের সঙ্গে ডিভোর্স? মুখ খুললেন অভিনেতার স্ত্রী মধুরিমা]
কমল সরকার পেশায় কাঠমিস্ত্রি। টাকার প্রয়োজনে প্রতিবেশী গোপাল ভবকের কাছে নিজের জমি বন্ধক দিয়েছিলেন। স্থানীয়দের দাবি,গোপালের স্ত্রী রমার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কমল। নিজের স্ত্রীয়ের বহু গয়না ভালোবেসে প্রেমিকাকে উপহারও দিয়েছিলেন। ব্যবসায় মন্দা হওয়ায় গত কয়েক দিন ধরে সেই গয়না ফেরত চাইছিলেন তিনি। কিন্তু গয়না তো ফেরত পাননি, বরং দুজনের মধ্যে অশান্তি বাঁধে। এমনকী, প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল বলে পরিবারের অভিযোগ।
পরিবারের দাবি, রমা ভবক গতকাল রাতে কমলকে ডেকে পাঠান। দুজনের মধ্য়ে কথা কাটাকাটি হয় বলে খবর। এর পর এদিন সকালে রমা ভবকের বাড়ির পেয়ারা গাছে কমলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, খুন করে বাড়ির পেয়ারা গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়ার পরই বিক্ষোভের মুখে রেখা পাত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে তাড়া মহিলাদের!]
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মৃতর ব্যক্তির হাতে একটি কাগজও ছিল। কমল সরকারের পরিবারের তরফ থেকে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভবক পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, সকলেই সেসময় ঘুমিয়েছিলেন। কেন কমল তাঁদের ঘর লাগোয়া পেয়ারা গাছে উঠল, তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা